রফিকুল ইসলাম, তাড়াশ ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বর্ষা কাল শেষ। চলছে শরৎ কাল। এ মাসে সাধারনত বৃষ্টি পাত বেশি হয়ে থাকে। ভারি বৃষ্টি পাতের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয় দিনের বেশির ভাগ সময়। এ সময় মাঠ- ঘাট পানিতে ভরে থাকে। তাই ফসলী জমিতে সেচের তেমনটা প্রয়োজন হয় না। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতেই চলে রোপা আমন ধানের চাষ।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার উচুমাঠ গুলোতে চলছে পুরোদমে রোপা আমন ধান লাগানোর কাজ। আর এ কাজে পুরুষদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কাজ করছেন মাঠে। জমি তৈরী ও বীজতলা থেকে চারা তোলা এবং সেই চারা ধান গাছ জমিতে রোপন করায় যেন সবাই ব্যস্ত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় মোট ইরি- বোরো আবাদি জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ২৫০ হেক্টর। তারমধ্যে বর্ষা মৌসুমে এ বছর উচু প্রকৃতির ১৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ফলন ভাল হবে বলে তিনি আশা করেন।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার নওগাঁ, তালম, দেশীগ্রাম, মাধাইনগর, তাড়াশ সদর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ফসলী মাঠে চলছে পুরোদমে ব্রি- ২৮, মিনিকেট, ব্রি – ৫৮, ব্রি-৩৬, ব্রি- ৪৯, পাইজাম জাতের রোপা আমন ধানের চারা রোপনের ধূম। জমি চাষ, আগাছা পরিস্কার ও চারা ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। আর এ কাজে পুরুষের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী নারীরাও সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। যদিও কাজে শ্রমের মজুরীর ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে।
মজুরি বৈষম্যের বিষয়ে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী নারী কাঞ্চন বালা উঁড়াও বলেন, সারা দিন পুরুষের পাশাপাশি আমরা নারীরা মাঠে- ঘাটে কাজ করে থাকি। অথচ পুরুষের তুলনায় আমাদের শ্রমের মজুরি কম দেয়া হয়। মাঠে এখন পুরোদমে রোপা আমন ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আমরা বাড়তি আয় করতে বসে না থেকে মাঠে কাজ করছি।
তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের কৃষক আজিজুল হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও জমি প্রস্তুত করে রোপা আমন রোপণ করা হচ্ছে। বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর প্রতি বিঘায় ধান পাওয়া যাবে ১৫ থেকে ২০ মণ। তবে ধান কাটার সময় ধানের বাজার ভাল পেলে তবেই পোষাবে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার উচুএলাকার ফসলী মাঠে রোপা আমন ধান লাগানো এখনো পুরোদমে শুরু হয়েছে। অার এ মাস পুরোটাই ধান লাগাবে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যাবে।