১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:২৩ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঙল জোয়ালের হালচাষ

প্রতিবেদক
joysagortv
নভেম্বর ১৪, ২০২৪ ১০:২৭ অপরাহ্ণ

মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বেশির ভাগ বাড়িতে এক সময় হালচাষের বলদ গরু দেখা যেত। সে সময় জমি চাষের ঐতিহ্যবাহী একটি পদ্ধতি ছিল বলদ গরু-মহিষ, জোয়াল ও লাঙল মই দিয়ে জমি চাষ।

এই পদ্ধতিতে লাঙলের ফলা জমির গভীর অংশ পর্যন্ত আলগা করত। গরুর পায়ের কারণে জমিতে কাদা হতো অনেক বেশি এবং গরুর গোবর জমিতে পড়ে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ত।
কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যটি। জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো সামান্য টিকে আছে গরু দিয়ে হালচাষ। কিন্তু আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে এই চিরচেনা দৃশ্যটি।

বর্তমানে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে।বাপ-দাদার আমলে দেখা যেত কাক ডাকা ভোরে কৃষক গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল মই নিয়ে মাঠে বেরিয়ে পড়ত। এখন এ দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে জমি চাষাবাদ।

কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের আজাদ মিয়া তালুকদার বলেন, ৯০ দশকেও আমার বাড়িতে তিন জোড়া হালের বলদ গুরু ছিল। তখন জমি চাষের জন্য পাওয়ার টিলার ছিল না। গরু দিয়ে জমি চাষ করলে জমি উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি হয়। চাষের সময় জমিতে গোবর পড়ে জমিতে মিশে যায়। এতে রাসায়নিক সার কম লাগত।

 

 

তিনি বলেন, জমি এখনো ঠিকই আছে। তবে হালের বলদ গুরু গুলো আর নেই। সময়ের ব্যবধানে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি আসায় লাঙল-গুরুর ব্যবহার আর নেই।

কাদিপুর গ্রামের জিলু মিয়া বলেন, গরুর লাঙল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই বিঘা জমি চাষ করা সম্ভব। আধুনিক যন্ত্রপাতির থেকে গরুর লাঙলের চাষ আরও গভীর হয়। এতে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের চাষাবাদে সার, কীটনাশক কম লাগত। তবে, দিনে দিনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায়  হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন, গরু-মহিষ, লাঙল, জোয়াল মই ছিল পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি পুরোনো চাষ পদ্ধতিকে আমূল পরিবর্তন করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

নড়াইলে পৃথক অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিনজন গ্রেফতার

তাড়াশে সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ

কামারখন্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন 

পর্যটকের পদভারে মুখরিত সারকন্যা কুয়াকাটা

নড়াইলের মাইজপাড়া ইউপির নবনির্বাচিত নারী চেয়ারম্যানের শপথগ্রহণ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর হার্ট পয়েন্টে পরিদর্শনে পানি সম্পদ উপদেষ্টা : দখল হওয়া নদী পুনরুদ্ধার করার অঙ্গীকার

দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় মাঝিরা–বীরগ্রাম বাইপাস সড়ক। আর সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমাট বাঁধে কাদা,পানি। যানবাহন নিয়ে খুব কষ্টে চলাচল করতে হয় এই রাস্তা ব্যাবহার কারিদের। নেই মেরামতের উদ্যোগ।

সিরাজগঞ্জে দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

গুমানীনদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শূণ্যতা সৃষ্টিকরে জীব-বৈচিত্র ও জলজপ্রাণী ধ্বংস করা হচ্ছে 

ক্রয় মূল্যে কাঁচা বাজার সামগ্রী বিক্রি