১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ১০:১৫ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

ক্রিকেটার না হলে পড়াশোনাটা শেষ করতাম, টিউশনি করতাম

প্রতিবেদক
joysagortv
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

পাওয়ার হিটিং নিয়ে আলোচনা আর আক্ষেপের মাঝে সম্ভাবনার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন ফরচুন বরিশালের ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। ডিপিএলের পর বিপিলেও দেখিয়েছেন, টি-টোয়েন্টির পাওয়ার-প্লে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়। এবার বিপিএলের শুরুতে দল না পাওয়া এ তরুণ সুযোগ পেয়ে মাত্র ৫ ইনিংস দিয়েই আলোড়ন তুলেছেন। যেখানে প্রায় ৩৭ গড়ে করেছেন ১৭৮ রান। স্ট্রাইক রেট ১৬২ প্রায়, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে চিনিয়েছে। 

বাইশ গজে মুনিমের ব্যাট যেমন বলের যোগ্যতা পরিমাপ করে চলে, তেমনি কথাতেও বেশ হিসেবে তিনি। কখনো নিজেকে সঁপে দিয়েছেন, আবার প্রয়োজনে টেনে ধরেছেন কথার লাগাম। নিজের ক্যারিয়ার, ছিটকে যাওয়া, উত্থান, তারকা খ্যাতিসহ নানান বিষয় নিয়ে মুনিম কথা বলেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে।

প্রশ্ন : আপনি তো ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে ছিলেন। এরপর মিরাজ, সাইফউদফিন, শান্তরা উঠে আসলেও আপনি কোনো আলোচনায় ছিলেন না…

মুনিম : তখন তো খুব বেশি সুযোগ পাইনি। ২০১৭ সালে আমি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলেছিলাম। ২০১৮ সালে খেলেছিলাম কলাবাগানের হয়ে। সে সময় অবশ্য খুব ভালো কিছু করতে পারিনি, এজন্য এইচপি দলে সুযোগ পাইনি। এরপর আমি নিজে নিজে অনুশীলন করতাম। যেহেতু রাডারে ছিলাম না, টিম পেতে কষ্ট হতো। 

প্রশ্ন : এমন পর্যায় থেকে তো অনেকেই হারিয়ে যায়। আপনার পথটাও সহজ ছিল না নিশ্চয়ই?

মুনিম : মানসিকভাবে আর আর্থিকভাবে সময়টা অনেক কঠিনই ছিল। বিষণ্নতায় ভুগছিলাম। সে সময় পারিবারের বেশ সহায়তা পেয়েছিলাম। এরপর আমি ২০১৯ সালে আবাহনীতে সুযোগ পাই। সে বছর মাত্র দুইটা ওয়ানডে খেলার সুযোগ হয়েছিল তাও মিডল অর্ডারে। ২০২০ সালে যখন শুরু করলাম, তখন তো মাত্র একটা ম্যাচ হওয়ার পর করোনার কারণে লিগ বন্ধ হয়ে যায়। এই করোনার মধ্যে আমি কঠোর পরিশ্রম করি। বাংলা ট্রাকে অনুশীলন করি, আমার জেলা ময়মনসিংহে অনুশীলন করি। এরপর ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে স্যার (খালেদ মাহমুদ সুজন) আমাকে ওপেনিংয়ে সুযোগ দেন। সেখানে তো প্রথম কয়েকটা ম্যাচ ভালো করতে পারিনি। এরপর তো মোটামুটি কয়েকটা ভালো ইনিংস খেললাম

প্রশ্ন : আচ্ছা, যদি ক্রিকেটটা আর টানতে না পারতেন। শুনেছি আপনি ভালো ছাত্রও ছিলেন। ক্যারিয়ারটাকে কোন পথে নিতেন তখন?

মুনিম : খুবই টাফ প্রশ্ন করেছেন। ক্রিকেটার হব এমন ইচ্ছেই তো ছিল। ক্রিকেটার না হলে হয়তোবা আমাদের ময়মনসিংহ থেকে পড়াশোনাটা শেষ করতাম আর টিউশনি করতাম।

প্রশ্ন : এরপর ডিপিএল দিয়েই বেশ পরিচিতি পান। কিছুটা তারকাখ্যাতি গায়ে লাগে। সেটা এবার বিপিএল খেলার পর আরো বেড়েছে?

মুনিম : তারকাখ্যাতি বলতে আমার পেজে কিছু লাইক বেড়েছে, ফেসবুক প্রোফাইলে ফলোয়ার বেড়েছে এইতো (হাসি)। এখন তো জৈব সুরক্ষার বলয়ের মধ্যে আছি, বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই, এজন্য সবাই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছে, ফোন দিচ্ছে। তবে আমি এসব খুব বেশি গায়ে মাখতে চাই না। স্বাভাবিক যেভাবে ছিলাম সেভাবেই থাকতে চাই।

প্রশ্ন : এই তারকা খ্যাতি ধরে রাখা তো সহজ নয়। আবার উল্টো চাপও তো আছে…

মুনিম : এজন্য আমি মিডিয়া ভয় পাই। এখন ভালো করছি ভালো কথা হচ্ছে, আবার যখন খারাপ করব তখন আপনারাই কথা বলবেন। এজন্য আমি নিউট্রল থাকার চেষ্টা করি সবসময়। ভালো হলেও নিউট্রল থাকার চেষ্টা করব, খারাপ হলেও নিউট্রল থাকার চেষ্টা করব। আমার মতে নিউট্রল থাকাটাই বেস্ট।

প্রশ্ন : এবার বিপিএলে ফেরা যাক। শুরুতে দল পেলেন না। এরপর আকর্ষিক ডাক। নিজের প্রথম ম্যাচেও ভালো করলেন না। তবুও নিজের খেলার ধরণ বদলাননি। চাপ অনুভব হলে তো ধরে খেলার কথা। কিন্তু আপনার ব্যাটিংয়ে সেটা দেখা যায়নি একদমই…

মুনিম : আমি আসলে খেলছি আমার নিজের মতো। আমি ওসব চিন্তা করি না যে আমাকে ধারাবাহিক হতেই হবে, আমাকে বড় রান করতে হবে, আমাকে অনেক কিছু করতে হবে। আমাকে ফাহিম স্যার, সুজন স্যার, সাকিব ভাই যেভাবে পরিকল্পনা করে দেয়, আমি সেভাবেই খেলার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন : সাকিব-সুজন তো আপনার ব্যাটিংয়ের তো অনেক প্রশংসা করেছেন। সাকিব বলেছেন, আপনি এবারের বিপিএলের বড় আবিষ্কার। নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?

মুনিম : অবশ্যই অনুপ্রেরণাদায়ক আমার জন্য। উনারা নিজ নিজ জায়গায় বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটীয় পার্সন। সাকিব ভাই তো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ওনাদের কাছ থেকে যখন এমন কমপ্লিমেন্টগুলো পাই তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। সঙ্গে দায়িত্বও অনেক বেড়ে যায় যে নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করতে হবে।

প্রশ্ন : বিপিএলে যেখানে স্থানীয় ওপেনাররা রান করতে হাপিত্যেশ করছে, সেখানে আপনি এতো সাবলীলভাবে ব্যাট করছেন কিভাবে?

মুনিম : সবকিছু উপরওয়ালার হাতে। আমি শুধু আমার প্রসেসটা ফলো করছি। সবাই কিন্তু চেষ্টা করছে। আসলে কারো কারো সময় আসে। এমন না যে বাকিরা চেষ্টা করছেন না। তামিম ভাই ভালো ব্যাট করছে, বিজয় ভাই ভালো ব্যাট করছে, লিটন ভাইও কিন্তু ভালো ব্যাট করছে। 

প্রশ্ন : ডিপিএলের পর বিপিএল, আপনার ব্যাটিংয়ের ধরণ দেখে মনে হলো পাওয়ার হিটিং ব্যাপারটা খুব উপভোগ করেন?

মুনিম : পাওয়ার হিটিং-ফিটিং এসব আমি কিছু জানি না, আমি শুধু ট্রাই করি। গ্যাপ খোঁজার চেষ্টা করি। ওটাই কাজে লাগাই শুধু। আর নতুন বল আমার খেলতে ভালো লাগে। 

প্রশ্ন : ক্রিস গেইলের মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে ওপেন করা, কতটুকু চাপ আর কতটুকু চ্যালেঞ্জিং মনে হয়?

মুনিম : কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। আমি মাঠে এই ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করি।

প্রশ্ন : ওপেনিং পার্টনার হিসেবে গেইলের কাছ থেকে কেমন সাহায্য পান?

মুনিম : উনি আমাকে উপভোগ করতে বলেন। আমি যেন কোনো বল মিস করি বা ভিন্নভাবে খেলি, উনি নন স্ট্রাইক থেকে এসে যতটুকু বলা দরকার ততটুকু বলেন। কী খেললে বেটার হতো বা কীভাবে খেলা যায় এগুলো পরামর্শ দেন।

প্রশ্ন : প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে সিঙ্গেল নিয়ে গেইল আপনাকে স্ট্রাইকের সুযোগ করে দিচ্ছেন। তার সামনেই আপনিই হিট করছেন। এমন অভিজ্ঞতা তো সচরাচর সবার হয় না, আপনার কাছে কেমন লাগছে?

মুনিম : উনি পাইলে নিজেই কিন্তু মারছেন। তবে এটা ঠিক যে ইনিংসটা বড় করতে পারছেন না।

প্রশ্ন : কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আপনি মুস্তাফিজকে একটি ছয় মারার পরের বলটি রক্ষণাত্মক খেললেন। এরপর গেইল আপনাকে কিছু একটা বলতে আপনার দিকে এগিয়ে আসতে চাইলেন, আপনি হাতের ইশারায় তাকে থামিয়ে দিলেন যে?

মুনিম : ওই বলটা আসলে সে কাটার মেরেছিল, তবে ফুলটস ছিল। তো আমি যখন ডিফেন্স করলাম, তখন সে এসে বলতে চেয়েছিল, কিপ পজিটিভ, সমস্যা নেই। আমি বলেছি, ইটস ওকে।

প্রশ্ন : শুনেছি আপনার মা গেইল ভক্ত। আপনি এবার গেইলের ওপেনিং পার্টনার। অভিজ্ঞতা কেমন, আপনার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে?

মুনিম : আম্মা তো অনেক খুশি যখন জানতে পারে বরিশালের হয়ে খেলব। গেইলের সঙ্গে ওপেন করছি, আম্মার অনেক হ্যাপি।

প্রশ্ন : ম্যাচে পাওয়ার-প্লে বা শুরুর ৬ ওভার বেশ সুন্দরভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। তখন আপনার ভাবনায় কী থাকে আসলে?

মুনিম : সবসময় আমার ভাবনা থাকে দলকে একটা ভালো শুরু এনে দেওয়া।  স্ট্রাইক রেটটা মেইনটেন করা। আমি সবচময় চাই শুরুতে দলের চাপ কমিয়ে একটা ভালো যায়গায় রেখে যেতে, যাতে পরে যারা আসবে তারা যেন প্রেশার রিলিজ হয়ে ভালো একটা ইনিংস খেলতে পারে।

প্রশ্ন : যেভাবে ব্যাট করছেন তাতে তো গায়ে হয়তো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টের তকমা পড়ে যাবে…

মুনিম : আমি তো কিছুদিন আগেও এনসিএল খেলছি। ১২০ বল খেলে ৫০ রান করেছি। সাদা বলে শেষ ৫ ইনিংসে আমার ২টা পঞ্চাশ আছে। আমি টেস্টও খেলতে পারি।

প্রশ্ন : তাহলে বলছেন, আপনি শুধু টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট না?

মুনিম : আমি এতকিছু ভাবছি না। এটা আসলে এখনি মুখে বলতে চাই না, খেলাতেই হবে। আমি সব ফরম্যাটেই খেলতে চাই। আমার সব ফরম্যাটই ভালো লাগে। তবে টি-টোয়েন্টি যেহেতু ভালো হচ্ছে, আমি এটা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।

প্রশ্ন : এবার শেষ করা যাক। দল হিসেবে বরিশাল তো এবার দুর্দান্ত খেলছে। তার ফল হিসবেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আপনার দল। ফাইনাল নিয়ে কী ভাবছেন? 

মুনিম : আমাদের এ নিয়ে কোনো লক্ষ্য নাই। এটা অন্যান্য আর দুটো ম্যাচের মতোই নরমাল ম্যাচ। যেভাবে আগের ম্যাচগুলোতে চিন্তা করেছি ওভাবেই আসলে চিন্তা আছে। অতিরঞ্জিত কিছু না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

চৌহালীতে বোরো আবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ছাত্র আন্দোলনের মুখে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির শান্তি ও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জনসমাবেশ

সিরাজগঞ্জে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি প্রদর্শন ও আলোচনা সভা

নড়াইলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত প্রমত্তা মধুমতি নদী ভাঙনের কবলে

ডোমারে র‍্যাবের অভিযানে মাদক সহ একজন গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বৈষম্য বিরোধী  ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা

বৃষ্টির জন্য চৌহালীতে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

সিরাজগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতি উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিক  দিবস উপলক্ষে পদযাত্রা ও আলোচনা সভা

সিরাজগঞ্জ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা