বিপ্লব কুমার দাস। নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাটে গরুর ছবি তোলার মত একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই গ্রামের ১০ জন লোক আহত হয়েছে। শুক্রবার ঘারুয়া বাজারে পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘর্ষের রুপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুরে কয়েক গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শান্তির লক্ষ্যে ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবলাতলা হাটে বিক্রয়ের জন্য আনা পীরেরচর গ্রামের একটা গরুর ছবি মোবাইলে ধারন করে গঙ্গাদরদী গ্রামের আরিফ মুন্সী।
এ সময় চৌকিঘাটা গ্রামের নিরব বিশ্বাস ছবি তুলতে নিষেধ করে। এই নিয়ে চৌকিঘাটা ও গঙ্গাদরদী গ্রামের কয়েক লোকজনের সাথে প্রথমে কথা-কাটাকাটি পরে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় চৌকিঘাটা গ্রামের নিরব ও আরিফ বিশ্বাস সহ ৪/৫ জন গুরুতর আহত হয়।
হাটের অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে শুক্রবার চৌকিঘাটা গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন যুবক ঘারুয়া বাজারে লালন ডাক্তারের দোকানে ঢুকে তাদেরকে মারধর করে। এ সময় দন্ত চিকিৎসক লালন মোড়ল ও সম্রাট মোড়ল সহ ১০ জন লোক আহত হয়।
গঙ্গাদরদী গ্রামের দাঁতের চিকিৎসক লালন মোড়লকে মারধর করার সংবাদ গঙ্গাদরদী গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী একত্র হয়ে দেশীয় অস্ত্র, ডাল, সরকি, টেটাঁ, কাতরা নিয়ে চৌকিঘাটা গ্রামের দিকে আসতে থাকে। সংবাদ পেয়ে তখন ভাঙ্গা থানার ওসি সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদের গতিরোধ করে বড় ধরনের সংঘাত থেকে রক্ষা পায়।
এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এস,আই সিরাজুল ইসলাম জানান, ছবি তুলা নিয়ে বাবনাতলা হাটে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংঘর্ষ হয়েছে। সেই ঘটনার সুত্র ধরে চৌকিঘাটা গ্রামের লোকজন গঙ্গাদরদী গ্রামের ডেন্টাল চিকিৎসক লালনকে মারধর করে। পরে গঙ্গাদরদী গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়াতে চেষ্টা করে। ওসি সাহেব সহ আমরা (পুলিশ) গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেই ।
ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল ইসলাম জানান, সকালে ডেন্টাল চিকিৎসককে মারধর করায় একপক্ষ উত্তেজিত হয়েছিল। তবে বড় কোন সংঘর্ষ হয় নাই। এ ব্যাপারে কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।