স্টাফ রিপোর্টার, মো: আশরাফুল ইসলাম :
চাটমোহর উপজেলার সরকারি জমি ও স্থাপনা ক্রমেই বেদখল হয়ে যাচ্ছে। চাটমোহর পৌরসদরে নতুনবাজার মন্দিরের পার্শ্বে জমি এবং চালাঘর,নতুনবাজার খেয়াঘাট মসজিদের পার্শ্বের জমি এবং চালা ঘর অরক্ষিত।
চাটমোহর পৌরসভার অর্থে চালা ঘর নির্মাণ করা হলেও আজ অবধি কোন কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে না। অযত্ন আর অ্হেলায় স্থাপনা দুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপরদদিকে নতুনবাজার খেয়াঘাট মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বের সমবায় অফিসের জমি এবং পাকা ভবন অনেকেই দখলে নেবার চেষ্টা করছে।
কয়েক বছর পূর্বে চাটমোহব উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক সিমানা চিহ্নিত করে বেড়াদিয়ে সরকারি সম্প্রতি মর্মে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়।
বর্তমানে তার কোন কিছুই নাই। ভবনের জানালা-দড়জা ভেঙ্গে গেছে।ভবনের ছাদ দেয়ালের ইট,বালি এবং প্লাস্টার খসে পড়ছে
চাটমোহর কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের চাটমোহর পুরান বাজর,হরিপুর ছাইকোলা, ফৈলজানাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন সদরের সাবেক বি এস কোয়াটার এখন অনেকে প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারনে নিরব। অপরদিকে চাটমোহর পৌরসভার নারিকেলপাড়া মহল্লায় বিএডিসি এর গোডাউন কাম মেশিন মেরামত কারখানাটি অযত্ন- অবহেলা আজ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।এখানে বিএডিসি সেচ যন্ত্রের অনেক মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমির সিমানায় অনেক জাযগা বেদখল হযে যাচ্ছে। চাটমোহর স্বাস্থ্য বিভাগের পুরান বাজারের পুরনো টেলিফোন ভবন ( দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র) টির ভবন এবং জায়গা অনেকেই দখল করে নিয়েছে। এখানে এক সময় পরিবার পরিকল্পনার ও সেনিটারি অফিস ছিল। চাটমোহরে সরকারি জমি ও স্থাপনা আজ অনেকেেই দখল করে নিয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ রহস্যজনক কারনে সরকারি জমি ও স্থাপনা রক্ষায় কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করা যাচ্ছে।