রেজাউল করিম বেলকুচি প্রতিনিধি : ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়ন ঐতিহ্যবাহী সমেশপুর হাটে জমে উঠেছে কুরবানির পশু গরু-ছাগলের রমরমা কেনা-বেচা, সোমবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নসিমন ও বডবডি যোগে আসতে শুরু করে কুরবানির পশু।
হাটে এসেছে জায়েদ খাঁন, সাকিব খাঁন, নেইমার, মেসি, পুতিন, হিরো আলম, ক্যাপ্টেন খানঁ, ব্ল্যাক ডায়মন্ড, ডাক্তার, নিরব, রাজাবাবু, কালাপাহাড়, লালুখাঁ, টাইগার, ড্রনালট্রাম্প সহ বাহারি নামের রংবেরঙের গরু।
অতি যতেœ পালিত পশু গুলোকে ভালবেসে গামছা দিয়ে মুছে দিচ্ছে, প্রচন্ড তাপমাত্রা থাকায় ছাতা দিয়ে কেউবা ত্রিফল টানিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করেছে। পশুগুলো বিক্রি শেষে বিদায় বেলায় পশুর চোখে অশ্রু, অন্যদিকে পশুর মালিকের চোখেও অশ্রুঝড়তে দেখা যায়, কেউ কাউকে ছারতে চাচ্ছে না, কিন্ত কি আর করার টাকা লেনদেন শেষ ছাড়তে তো হবেই, এরকমদৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল যেন টাকার কাছে ভালবাসার বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম মণে ১০ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। গরু বাগে মেলানো কঠিন হয়ে পরছে।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কুরবানির বাজারে। অতিরিক্ত খরচ ও অতি আদরে পালিত পশুর সঠিক দাম হচ্ছেনা, হাটে পশুর যে দাম উঠছে তাতে লোকসানের শঙ্কা রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
হাটে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ছোট-বড় নানা আকারের গরু ও ছাগল আনা হয়েছে। বেলকুচিতে কুরবানির পশুর হাট প্রথমদিন তেমন ক্রেতার আগমন দেখা যায়নি। যারা আসছেন, তারা শুধু দেখেই চলে যাচ্ছেন। গরু কিনে রাখার মতো জায়গা না থাকা এবং পশুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় পরে কিনবেন বলে জানা যায়।