১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ১১:৪২ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

রায়গঞ্জে ইটভাটা গিলে খাচ্ছে ফসলি জমির টপ সয়েল ॥ প্রশাসন নীরব

প্রতিবেদক
joysagortv
মে ৯, ২০২৪ ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। এতে ক্রমেই কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। মাটি ব্যবসায় জড়িত রয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দলীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা।
ফলে অবাধে ফসলি জমির মাটি কাটছে মাটিখেকোরা। নির্বিঘেœ ফসলি জমি কেটে ধ্বংস করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। এলাকাবাসীর দাবি বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করেই কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্য উৎপাদনের অসমতা যখন ক্রমেই বাড়ছে তখনই বাংলাদেশ সরকার কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে প্রতিযোগিতা করছে। ঠিক সেই সময় ফসল উৎপাদনের জৈব যা মাটির উপর থেকে ৮ ইঞ্চি নিচু পর্যন্ত এবং মাটির কর্ষণ স্তরেই থাকে। টপসয়েল কেটে ইট ভাটায় পোড়ানোর ফলে ফসলি জমি হ্রাস পেয়ে খাদ্য শস্য উৎপাদন কমে গেলেও রহস্যজনিত কারনে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তর নীরব রয়েছে।
অন্যদিকে ইটভাটায় নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশের যেমন বিপর্যয় ঘটছে, তেমনি এলাকার মানুষ কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে এলাকার পরিবেশ চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী বসত বাড়ীর ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ইট ভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকলে তা মানা হচ্ছে না। উপজেলার সোনাখারা গ্রামে রাজু গং ২৫ বিঘা এবং পাশের গ্রাম রুপাখারায় আবু তালেব ২০ বিঘা তিন ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করছেন। নিষেধ করতে গেলেই সাধারণ কৃষকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব ভূমিদস্যুরা। ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় পুকুর খননের নামে শত শত বিঘা আবাদি কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিভিন্ন ইটভাটা মালিকদের নিকট চড়া মূল্যে বিক্রি করছে মাটি খেঁকো এসব ভূমিদস্যুরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটি কাটার ফলে কোথাও কোথাও ফসলি জমি পুকুর সমান গভীর হয়ে আছে। ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক ও অবৈধ ট্রলিভর্তি করে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এসব যানবাহন চলার কারণে ধূলা বালুতে আচ্ছন্ন হয়ে পরিবেশ দূষিত হয়েছে। রাস্তায় চলাফেরা করতে মানুষের শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় জনগন দিশেহারা হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। হুমকির মধ্যে পরছে হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ধুলাবালির কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ঘরে ঘরে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরছে। এতে করে জনমনে বাড়ছে ব্যাপক ক্ষোভ।এদিকে, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। কখনও কখনও ভাটা মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রলোভন দেখিয়ে কৃষি জমির মাটি বিক্রি করতে উৎসাহিত করছেন জমির মালিকদের। অনেকের ফসল ভর্তি জমির ওপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক আসা-যাওয়া করছে। ফলে জমির ফসল হারিয়ে নির্বিকার হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। স্থানীয় এক কৃষক বলেন, এভাবে মাটি কাটা হলে ফসলি জমি আর থাকবে না। ইট ভাটাগুলো যেভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফসলি মাঠ সব পুকুর হয়ে যাবে।
অপর দিকে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে বিদ্যালয় গুলোতে উপস্থিতির হার কমতে শুরু করেছে।
ছাত্রছাত্রীরা জানায়, স্কুলে যেতে ধূলায় আমাদের জামা কাপর নষ্ট হয়ে যায়। ধুলাবালির কারণে দিনের বেলায় জানালা খুলে রাখা যায় না। আমরা বাড়ীতেও খোলা জায়গায় পড়তে পারি না, খাইতে পারি না। আমরা দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে পরছি।অনুসন্ধানে জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলায় বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা মিলে প্রায় ৫৮টি ইটভাটার মধ্যে মোট ইট উৎপাদন হয় ১’শ ৮০ কোটি। উৎপাদিত ইটের কাঁচামাল হিসেবে ৭০ শতাংশ মাটি লাগে। যার অধিকাংশ মাটি নেওয়া হয় রায়গঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ এলাকায় চলছে এ মাটি কাটার ধ্বংসযজ্ঞ। মাটি ব্যাবসায়ির সিন্ডিকেট ও অবৈধ ইটভাটার মালিক মিলে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবাধে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে উক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টিসহ পরিবেশের ভারসাম্য, জীব বৈচিত্র্যসহ খাদ্য নিরাপত্তা মারাক্তকভাবে হুমকির মুখে পরেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক এলাকার একাধিক ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেন, পাশের জমিতে মাটি কাটার ফলে আমাদের জমির পাড় ভেঙ্গে যায়। জমিতে সেচের পানি আটকে রাখা যায় না। যার কারণে জমিতে ঠিকমত ফসল ফলানো যাচ্ছেনা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে পূর্বেই অবহিত করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আবার মাটি ভর্তি ট্রাক ও ট্রলিগুলো নেওয়া হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে। ফলে রাস্তাগুলো উঁচুনিচু এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকা ধূলা বালুতে আচ্ছন্ন হয়ে যাতায়াতে নানা শ্রেণীর মানুষের শ্বাস কষ্টসহ নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী দ্রুত সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

মহানবী (সা:)’র অবমাননার প্রতিবাদে তাড়াশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

তাড়াশে দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা

নড়াইলে পুলিশের অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার

চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে  বঙ্গবন্ধুর জন্মজয়ন্তী, জাতীয় শিশু উদজাপন।

ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

সিরাজগঞ্জ সদরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত দুর্লভ শীল্ড কাপ

বেলকুচিতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা

বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আলু থাকা সত্ত্বেও সাড়ে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে

ঝিনাইদহের তাসিন এশিয়ান কাপ খেলতে গেলেন কম্বোডিয়া