আশরাফুল ইসলাম জয়:
অসহায়ত্বের কথা বলে বই বিক্রেতার ছদ্মবেশে দ্য ডেইলী স্কাই পত্রিকার সম্পাদকের টেবিল থেকে মোবাইল চুরি করে নিয়ে গেছে এক দূর্র্ধষ চোর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ১:৫৮ মিনিট থেকে ২:১ মিনিটের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের গোশালা রেলগেটের আফতাব কমপ্লেক্সে অবস্থিত দ্য ডেইলী স্কাই পত্রিকা অফিসে।
ঘটনা ও সিসি ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১:৫৮ মিনিট থেকে ২:১ মিনিটের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এক বই বিক্রেতা ছদ্মবেশী চোর অসহায়ত্বের কথা বলে দি ডেইলী স্কাই পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জীবনের
অফিসে ঢুকে তার নিকট অর্থ সহযোগিতা চান। টাকা না দিলে বই কিনে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। মানবিক কারণে বই কিনে সহযোগিতা করার জন্য সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জীবন মানিব্যাগ (পার্স) থেকে টাকা বের করে দুইটি বই কেনেন। কে জানত বই বিক্রেতার ছদ্মবেশী ব্যক্তির মূল উদ্দেশ্য? অফিসের টেবিলের উপরে রাখা অপ্পো স্মার্টফোনটি কৌশলে বইয়ের নিচে ধরে নিয়ে বইয়ের দামসহ দ্রুত সটকে পড়ে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তি সুকৌশলে মোবাইল ফোনের উপর বই রেখে মোবাইলটা তুলে নেয়। সিসি ফুটেজে যেন তার চেহারা সনাক্ত করা না যায় তার জন্য সুকৌশলে মাথা নিচু করে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ব্যক্তি কোন সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য। চুরির কিছুক্ষন পরেই ফোনটির লোকেশন দেখা যায় মাগুরায় এবং আইমি নাম্বারও সম্ভবত: চেঞ্জ করা হয়েছে। এত দ্রুত সময়ের মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে মাগুরা যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে অনুমান করা যায় যে, চোর ব্যক্তি শুধু চুরি বিদ্যায় সিদ্ধহস্ত নয়, টেকনিক্যাল বিষয়েও তার দক্ষতা রয়েছে অথবা তার ধারে কাছেই কোন দক্ষ সহযোগী রয়েছে, যার দরুন এটা করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, এই রকম ফোন চুরির ঘটনা সিরাজগঞ্জ শহরে অহরহ ঘটছে বলে বহু অভিযোগ রয়েছে। থানায় জিডি করা হলেও উদ্ধার হচ্ছে খুব অল্প সংখ্যক ফোন। খুব শীঘ্রই চোর সিন্ডিকেট গ্রেফতার না হলে মোবাইল চুরিসহ অন্যান্য চুরির ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন একাধিক সচেতন মহল।
সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দ্য ডেইলি স্কাই প্রত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জীবন বলেন, ”মানুষ অসহায়ত্বের দোহাই দিয়ে ফোন চুরির মত এমন দুর্র্ধষ কাজ করছে দেখে আমি নিজেই অবাক। শুধু তাই নয়, চুরির কিছুক্ষনের মধ্যেই মোবাইলের লোকেশন সিরাজগঞ্জের পরিবর্তে মাগুরা দেখানোর বিষয়ে আমি হতবাক।”
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, “চোর চক্র ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝে মাঝে দুয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও, পরে তারা জামিনে বের হয়ে আবারও একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।”