তারিকুল ইসলাম তারিক, স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি অনুমতি ছাড়াই প্রায় এক লক্ষ টাকার গাছ কাটল মিঠিপুর ইউনিয়নের পান বাজার ডিএম উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক শামসুর আলম বি এস সি। গাছগুলো কেটে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে রেখেছে যাতে কেউ দেখতে না পায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানের মাঠের দক্ষিণ পাশে বেশ কয়েকটি মেহগনি গাছ কেটে কিছু গাছ স মিলে বিক্রি করে একটি গাছ বাড়িতে রেখে দেয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ চলে আসছে। এজন্য প্রধান শিক্ষক এক মাসের ছুটি নিয়েছে। আর এই সুযোগে কাজে লাগিয়েছে গাছ খেকো শামসুল মাস্টার। মিঠিপুর বাজারপাড়া গ্রামের দুলা মিয়ার পুত্র ভ্যানচালক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আমি এ গাছ গুলো ভ্যানে করে বহন করেছি। এ বিষয়ে শামসুল বিএসসির সাথে কথা হলে তিনি বলেন ভাই দেশটাতো অরাজগ পরিস্থিতি দিকে চলে গেছে সেখানে মাত্র কয়েকটি গাছ কেটেছি। প্রধান শিক্ষক লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করলেন এ নিয়ে কিছুই লিখলেন না। কথা শুনে মনে হয় প্রধান শিক্ষকের ফাঁদে ফেলানোর জন্য এই গাছগুলো কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি গাছ কাটার অনুমতি দেইনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ মন্ডল বলেন অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা মোটেই ঠিক হয়নি। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা বন কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার বলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটানোর জন্য কেউ আমাকে বলেনি। গাছ খেকো শামসুল মাস্টারের সাথে কথা বলার সময় তার অপকর্ম ঢাকার জন্য বেশ কয়েকজন সহযোগী চেষ্টা করেন। বিধি অনুযায়ী গাছ না কাটার অপরাধে চোর সাব্যস্ত করে আই নানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকার জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণ।