পাংশা প্রতিনিধিঃ
জনরোষের ভয়ে গত ৫ই আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস।
সরেজমিনে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, সচিবের অফিস কক্ষ খোলা থাকলেও খোলা নেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কক্ষ। আবার দুই-এক জন মেম্বার পরিষদে আসলেও জনরোষের শিকার হবার ভয়ে প্রতিদিন আসছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সেবা গ্রহীতারা।জনমনে ক্ষোভ চেয়ারম্যানের উপর।
এ বিষয়ে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মুহম্মাদ রমজান আলী জানান, আমরা প্রতিনিয়ত অফিস করছি। ইউনিয়ন পরিষদের কোন প্রকার এখন পর্যন্ত ঝামেলা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ফলে ইউনিয়ন পরিষদে বেশ একটা ঝামেলা নেই। আমরা রীতিমতো অফিস করে যাচ্ছি।
পাট্টা ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের সদস্য করিম(ছদ্মনাম) বলেন আমি একটা জন্ম নিবন্ধনের পরিষদে আসছি।সবকিছু হয়েছে, এখন আবার আমাকে চেয়ারম্যানের বাড়ি গিয়ে এটা স্বাক্ষর করে আনতে হবে। চেয়ারম্যান যদি পরিষদের অফিসে বসতো তাহলে আমার এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
একাধিক মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, টাকা নিয়ে ভুয়া বয়স্ক ভাতা,মাতৃকালিন ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেয়।কিন্তু সেই ভাতায় আজ পর্যন্ত কেউ কোনো টাকা পায় নি।এবং সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তিনি তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন,এই বিষয় টা আমার কানে আসছে, দেশের পরিস্থিতি অবনতির কারনে আমি বিষয় টা দেখতে পারি নাই। আমি খুব দুর্ত এই বিষয় টা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমি আপাতত আপনার কাছে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মোহম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী জানান,জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলোচনা করে খুব দুর্ত এই বিষয় টা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।