আসামীরা প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করলেও প্রশাসন নিরব থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন?
স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জহুরুল বাহিনী কর্তৃক কাউন্সিলর আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা হলেও আসামীরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে আসামীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোরাফেরা করছে। উল্টো বাদী ও বাদির আত্মীয় স্বজনদের প্রকাশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে আসামীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাদি পক্ষ শংকিত হয়ে পড়েছে। অপর দিকে আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাদীপক্ষ সহ এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, উল্লাপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে হেরে সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল বাহিনী কর্তৃক প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর এবং বর্তমান কাউন্সিলর আজাদ ও তার ভাগ্নেকে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। উক্ত ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম সহ ১২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কাউন্সিলর আজাদের ভাতিজা মোঃ জাকারিয়া হোসেন। কিন্তু এখনও আসামীদের গ্রেফতার বা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে জহুরুল ইসলাম হেরে যায়। উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন যাবৎ জহুরুল ইসলামের সহিত বর্তমান কাউন্সিলর আজাদ হোসেনের সাথে মনোমালিন্য চলে আসছে। মামলার বাদী জাকারিয়া হোসেন কাউন্সিলর আজাদের ভাতিজা ও ভাগ্নে আলামিন হওয়ার কারণে সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম তাদের দির্ঘদিন যাবৎ শত্রুতামূলক আচরণ করতে থাকে। জহুরুল বাহিনী কর্তৃক কাউন্সিলর আজাদ সহ তার ভাতিজা ও ভাগ্নেদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নানা রকম ষড়যন্ত্রও করতে থাকে। এমতাবস্থায় গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে দুপুর ১২টার দিকে দেশীয় অন্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বসত বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর এবং কাউন্সিলর আজাদ ও তার ভাগ্নে আলামিনকে ব্যাপক মারপিট ও গুরুত্বর জখম করে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে আগাইয়া গেলে সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামসহ সন্ত্রাসীরা অস্ত্র উচিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে বাড়ি থকে চলে যায়। এসময় কাউন্সিরল আজাদ ও তার ভগ্নে আলামিনের অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় ভাতিজা জাকারিয়া এবং এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ হাসপতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন।