স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার পশ্চিমপাড়া গ্রামে নালিশী জমি জোরপূর্বক বেদখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ এলাকার মৃত জহির উদ্দিন-এর ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম (রতন)সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে জমির মালিকগণের পক্ষে মো: আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২২৩/২৪ স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর বিজ্ঞ আদালত নিষেধজ্ঞা আদেশ প্রদান করা সত্বেও উক্ত আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বেদখলকারীরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া থানার অন্তর্গত মৌজা বাখুয়া মধ্যে সি,এস ১৫১ নং খতিয়ানের নালিশী দাগ ভূমি সহ ২৮৮ শতক সম্পত্তির যে রায়তি জোত বসত লেখা যায় তাহা এনাত প্রাং চার আনা অংশে ৭২ শতক, চেরাগ আলী চার আন অংশে ৭২ শতক ও কাবিল প্রায় আট আনা অংশে ১৪৪ শতক স্বত্বদখলীয় সম্পত্তি ছিল। অত:পর তাহারা স্বত্ববান ভোগদখলে থাকাবস্থায় সি,এস ১৫১নং খয়িান সঠিক ও পরিশুদ্ধভাবে রেকর্ড হইয়া চুড়ান্তরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। অত:পর মো: বালি প্রাং ১৪৪ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ববান ভোগদখলে থাকাবস্থায় মোছা: আদরজানকে একমাত্র কন্যা ওয়ারিশ বিদ্যমানে মারা যায়। অত:পর মোছা: আদরজান পিতার অংশে ১৪৪ শতক সম্পত্তি পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া
স্বত্ববান ভোগদখলে থাকাবস্থায় মো: জুড়ান আলীকে এক পুত্র ওয়ারিশ বিদ্যমানে মারা যায়। অত:পর মো: জুড়ান আলী মাতার ওয়ারিশ সূত্রে ১৪৪ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া স্বত্ববান ও ভোগদখলে থাকেন। অত:পর মো: এনাত প্রাং সি,এস রেকডীয় প্রজা হিসাবে ৭২ শতক সম্পত্তি প্রপ্ত হইয়া এজমালিতে স্বত্ববান ভোগদখলে থাকাবস্থায় বিগত এস,এ জরীপ আমলে এস,এ ১৯৯ নং খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত হয় বটে। অত:পর উক্ত এস,এ ১৯৯ নং খতিয়ানে মো: এনায়ের স্ত্রী মোছা: ফুলজানের নামে এস,এ রেকর্ড হওয়ায় এস,এ আংশিক ভ্রমাত্মক হয়। অত:পর মো: জুড়ান আলী মন্ডল নালিশী দাগের ১৪৪ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া এজমালিতে স্বত্ববান ও ভোগদখলে থাকাবস্থায় মো: আব্দুল জলিল, মো: জহির উদ্দিনকে দুই পুত্র ওয়ারিশ বিদ্যমানে মারা যায়। অতপর: মো: আব্দুল জলিল মন্ডল ৭২ শতক ও মো: জহির উদ্দিন মন্ডল ৭২ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া স্বত্ববান ও ভোগদখলে থাকেন। বিগত আর,এস জরীপ আমলে সাবেক ২৯১৫নং দাগের ১৬ শতক সম্পত্তি আর,এস ৮১৮৮ নং দাগে শ্রেণী বাড়ী হিসাবে ৪ শতক সম্পত্তি পশ্চিমাংশে আর,এস ২৯৭ নং খতিয়ানে মো: আব্দুল জলিল ও মো: জহির উদ্দিন মন্ডলের নামে সঠিক ও পরিশুদ্ধভাবে রেকর্ড হইয়া প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। অত:পর সাবেক ২৯১৬নং দাগের ১৬ শতক সম্পত্তি আর,এস ৫১৯১ নং দাগে রূপান্তরিত হইয়া সাবেক ১৬ শতকের মধ্যে ১৪ শতক সম্পত্তি আর,এস ২৯৭ নং খতিয়ানে রেকর্ডভূক্ত হইয়াছে বটে। উল্লেখ্য যে, আর,এস ৫১৯১ নং দাগে ১৪ শতক সম্পত্তি উল্লেখ থাকিলেও সরেজমিনে মাপ জরীপে ১৬ শতক সম্পত্তি বিদ্যমান আছে। অত:পর মো: আব্দুল জলিল মন্ডল সাবেক ২৯১৫ হাল আর,এস ৫১৮৮ দাগের শ্রেণী বাড়ি হিসাবে ৪ শতকের কাতে ২ শতক পশ্চিমে ও সাবেক ২৯৬৬ নং দাগের ১৬ শতকের আর,এস ৫১৯১ নং দাগের সম্পত্তি শ্রেণী বাড়ী হিসাবে পূর্বাংশের ৮ শতক সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া ঘর গৃহাদী নিমার্ণ পূর্বক পুত্র পরিজন লইয়া দীর্ঘদিন যাবত সবার অবগত মূলে স্বত্বমান ও ভোগদখলে আছে। অত:পর মো: আব্দুল জলিল মন্ডল নালিশী সাবেক ২৯১৬ আর,এস ৫১৯১ দাগের পূর্বাংশে ৮ শতকের বাড়ীর পশ্চিমে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা নালিশী জমি অত্র বিবাদীপক্ষের স্বত্ব দখল না থাকা স্বত্বেও গায়ের জোরে পশ্চিমাংশের সীমানা হইতে পূর্বদিকের নালিশী সম্পত্তি গত ১৭-০৫-২০২৪ইং তারিখে বেদখল করিয়াছে। অত:পর বিবাদীগণ বাদীপক্ষের নিষেধ অমান্য করে নালিশী ভূমিতে বিল্ডিং করার প্রক্রিয়ায় অব্যাহত আছে। অত:পর জহির উদ্দিন ১-৫নং বিবাদীগণ ও নান্নুকে ছয় পুত্র এবং ৮-১৩নং বিবাদীগণকে ছয় কন্যা বিদ্যমানে মারা গিয়েছে। নালিশী তপশীল বর্ণিত ভূমিতে বিবাদীগণ বেদখলের পূর্বে কোন প্রকার ভোগদখলে ছিলো না কিংবা থাকার কোন কারনও নাই। বাদীগণ দীর্ঘদিন যাবত নালিশী ভূমিসহ পূর্বাংশের ৮শতকে ঘর বাড়ী ও আঙ্গিনা হিসাবে ভোগদখলে ছিলেন। বাদীগণ নাশিলী ভূমি বাবদ বিবাদীগণকে উচ্ছেদ পূর্বক খাস দখলের ডিক্রী পেতে আইনত হকদার হওয়ায় আদালতের সরণাপন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, নালিশী তপশীল বর্ণিত ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৫,৪১,৫০০/- টাকা হওয়ায় মূল্যের ১২, ৪৫৫/- আইন নির্দিষ্ট এ্যাডভোলেরম কোর্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করেছেন।
আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞার পরেও বিবাদী পক্ষ জোরপূর্বক দখলকৃত জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিবাদীগণের অবৈধ দখল ও স্থাপনা দ্রুত অপসারন পূর্বক খাস দখল পাইবার জন্য বিজ্ঞ আদালতে সরণাপন্ন হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোন অপ্রতিকর ঘটনাসহ প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।