স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সাংবাদিককে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যাবসায়ী রেকোয়াত হোসেন রকেট।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৩০-০৪-২০২৪ ইং তারিখে “উল্লাপাড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় বে-সরকারি চাকুরিজীবি এক যুবকের চোখ উপরে ফেললো সন্ত্রাসীরা” এই শিরোনামে দুইটি দৈনিক পত্রিকা ও একটি স্বনামধন্য অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় যার কোন ভিত্তি নেই। সাংবাদিককে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংবাদটি প্রচার করা হয়। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও প্রকৃত ঘটনা বিশ্লেষন করছি। প্রকৃত ঘটনা হলো, আমি একজন প্রতিষ্ঠিত
ব্যাবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যাবসা করে আসছি। আমার বাবা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের নিজ নামীয় লিজের ডি.সি. আর কৃত সম্পত্তিতে সুজন সরকার, সুমন সরকার, সংগ্রাম সরকার সর্ব পিতা – সবুজ সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ পাকা স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করে আসছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা মরিয়া হয়ে পূর্ব থেকেই আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নানাবিধ হুমকি, খুন – জখমের ভয়ভীতি প্রদান করছিল। ইতিমদ্ধে আমার বাবা অসুস্থ থাকায় তারা সুযোগ বুঝে তাদের টিনের ঘর ভেঙ্গে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমাদের বাড়ির দরজার সামনে বালুর স্তূপ দিয়ে আমাদের বের হওয়ার পথ রোধ করে রাখে। পেশী শক্তির মাধ্যমে তারা আমাদের নানাবিধ ভাবে মারধর, হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছিল ।
বিষয়টি নিয়ে বিগত দিনে আমি উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি ও বিজ্ঞ আদালতে একটি সাত ধারা মামলা দায়ের করি। এরপর তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবার নামীয় লিজের জায়গায় জোরপূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে যা বর্তমানে চলমান। ভদ্রভাবে তাতে বাধা প্রদান করতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। পূর্বে থেকেই এলাকায় সুজন সরকার ও সুমন সরকার ও সংগ্রাম সরকার উশৃঙ্খল, বদ মেজাজি বলে এলাকাবাসী অবগত আছেন। তারা হিংসা ও রোষের বশবর্তী হয়ে আমাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে এবং সেই বানোয়াট মামলার কপি সাংবাদিককে দিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে। পুরো ঘটনাটি সুজন সরকার ও সুমন সরকারের সাজানো নাটক। এলাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী হিসেবে আমার সুনাম রয়েছে, আমি কখনোই কোন চাঁদাবাজি, মারামারি ও উশৃঙ্খল আচরনের সাথে সম্পৃক্ত নই। এক্সিডেন্ট করে চোখে আঘাত পেয়ে তারা প্রচার করছে আমরা নাকি তার চোখ উপড়ে ফেলেছি, অথচ তার চোখ চোখের জায়গায়ই আছে। এগুলো হাস্যকর ছাড়া আমি আর কিছুই মনে করি না। আমরা মূলত গভীর স্বরযন্ত্রের শিকার। আমি প্রকৃত ঘটনা সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্যে প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের আহ্বান জানাই।