২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সন্ধ্যা ৬:১৬ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী

প্রতিবেদক
joysagortv
অক্টোবর ৪, ২০২৪ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ

আরিফ সিকদার, কলাপাড়া প্রতিনিধি।।
অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন থেকে বাড়ি-ঘর, চলাচলের রাস্তাঘাট, রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরে জোয়ারের পানিতে নেমে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচী শেষে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মোল্লা, মোঃ শাহীন মোল্লা, মোঃ সোহেল মোল্লা, ভুক্তভোগী কৃষক মো: মোশারফ হাওলাদার, বেল্লাল হোসেন, মোসাঃ হালিমা আয়শা এবং মেহেদী হাসান সহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘পশ্চিম লোন্দা গ্রামের ২৫০ টি দরিদ্র পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। আমরা জোয়ার ভাটায় ডুবি ভাসি। আমরা বেঁচে থাকার জন্য, কৃষি জমি রক্ষায় একটি টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ছাড়াও অমাবস্যা-পূর্নিমায় পানিতে ডুবে ভাসি। মানবেতর জীবনযাপন করছি। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। তাই স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই। অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে আমাদের বাচাঁনো হোক।’

কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টিয়াখালী নদীর তীরে জেগে চরে দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে প্রায় ২৫০টি পরিবার। যাদের অধিকাংশ বসতভিটা এবং ফসলী জমি বিএস জরিপে মালিকানা রেকর্ড হয়। কিছু পরিবার সরকারের খাস জমিতে বন্দোবস্ত নিয়ে বসবাস করছেন। বহুদিনে গড়ে উঠেছে এই গ্রামটি। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে থাকে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট এমনকি ফসলী জমি। জমিতে বীজ রোপনের পর আতংকে থাকে কৃষক। কখন পানি উঠে সব তলিয়ে যায়।

বক্তারা বলেন, জোয়ার-ভাটা আমাদের এলাকার প্রায় ২৫০ পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে যায়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে আমরা রান্না করতে পারি না। বিগত দিনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময়ে ৪ দিন পর্যন্ত আমাদের বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে ছিল। জোয়ার-ভাটা কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে বছরে একবার চাষাবাদ করতেও আমাদের কষ্ট হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সোহেল মোল্লা বলেন, আমাদের প্রায় ২০০ একর জমি তলিয়ে থাকে। তিন ফসলী এই জমি অথচ আমরা এক ফসলও চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা অনেক কষ্টের মাঝে আছি। আমাদের এখানে একটা টেকসই বেড়িবাঁধ খুবই প্রয়োজন।

হালিমা আয়শা বলেন, আমরা এই এলাকার কয়েকজন স্বেচ্ছাসেববক মিলে দীর্ঘ দুইমাস ধরে একটি গবেষণা করেছি। আমাদের গবেষণায় এই এলাকার বিভিন্ন সমস্যা পেয়েছি যার মধ্যে কৃষি উৎপাদন সমস্যা, যাতায়ত ব্যবস্থার সমস্যা। বাচ্চাদের স্কুলে যেতে অনাগ্রহী। সুচিকিৎসার অভাব। সব কিছুর মূলে গিয়ে একটা সমস্যা পেয়েছি যে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই।

মেহেদী হাসান বলেন, যদিও আমি এই এলাকার ভোক্তভোগী না। এলাকার সমস্যা নিয়ে দুই মাস ধরে কাজ করছি। এখানে প্রায় ২৫০টি পরিবার জোয়ার আসলেই ঘরে পানি উঠে যায়। এমনকি ঘূর্ণিঝড় তো দূরের কথা বর্ষার সময়ে ঘরে পানি উঠে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

চৌহালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত 

প্রভাবশালীর সংজ্ঞার পরিবর্তন করতে চাই  -সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় নওগাঁর নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুতুব উদ্দিন

পাংশায় বসতবাড়ীতে হামলা-ভাঙচুর,চার তরুন আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির মূল্য কমানোর দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

নেত্রকোণায় মালিকবিহীন ১২১ পিস ভারতীয় কম্বল উদ্ধার করে সেনাবাহিনী

রায়গঞ্জে পাঙ্গাসী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

পোরশায় কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সভাপতি রুহুল আমিন সম্পাদক জুয়েল শেখ