মোঃ হামজা শেখ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
রাজবাড়ীর কালুখালীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আহমেদ শেখ নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার শিশু পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা কালুখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ। অভিযুক্ত আহমেদ শেখ উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পাকশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত আহমেদ শেখ সম্পর্কে ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী দাদা হোন।
ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, কয়েকদিন পূর্বে প্রতিবেশী আহমেদ শেখ আমার মেয়ের ধর্ষণ করে এবং আমার মেয়েকে ভয়ভিতি দেখয়া। এই ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে আহমেদ শেখকে দেখলেই ভয় পায়। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করি তোমার (আহমেদ শেখ) দাদাকে দেখে ভয় পাও কেন? তখন আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে বলে। বিষয়টি তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন ভাবেই স্বীকার করে না। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (১২নভেম্বর) আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তার আমার মেয়েকে দেখে পরিক্ষা-নিরক্ষা দিয়েছে। এখনো হাসপাতালেই আছি। এ বিষয়ে কালুখালী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। আমার ভাশুর (শারীরিক প্রতিবন্ধী) তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায় বলে আমার মেয়ে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সরেজমিনে গেলে অভিযুক্ত আহমেদ শেখকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। এ সময় তার শ্যালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তিনি বাড়িতে নেই। আর আহমেদ শেখ যে ধর্ষণ করেছে এরতো কোন প্রমাণ নেই। থানায়ও ধর্ষণের অভিযোগ হয়নি। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ হয়েছে। তার পরেও বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করছি।
শারীরিক প্রতিবন্ধী অনুচ্ছেদ বলেন, কয়েকদির আগে বাচ্চাটি আমার বাড়িতে মোবাইল নিয়ে খেলা করছিল। এ সময় আহমেদ শেখ বাচ্চাটির সাথে অনেক ইয়ারকি করছিল। এর বেশি কিছু করেনি।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাটি সত্য কিনা তা আমরা জানি না। সত্য-মিথ্যা জাচাই করে এর বিচার হওয়া দরকার।
মুঠোফোনে অভিযুক্ত আহমেদ শেখ বলেন, দাদা হিসেবে এলাকায় আমার যারা নাতি-নাতনী আছে সবাইকে আমি অনেক ভালোবাসী। এই ভালোবাসাই আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য না। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা আছে। সেখানে ধর্ষণের কোন প্রমাণ দিতে না পারলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিব।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাচ্চাটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি আমাদের গাইনি চিকিৎসক দেখছেন। আগামীকাল বাচ্চাটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগের কোন সত্যতা খুজে পাইনি।