বিপিএলের অষ্টম আসরে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করা বরিশাল সবার আগেই উঠে গেল ফাইনালে।
সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে বিপিএলের দুইবারের শিরোপাজয়ী দল কুমিল্লাকে ১০ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।
১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার জয়ের জন্য শেষ ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩২ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু শেষদিকে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি কুমিল্লার বিদেশি তারকা ফাফ ডু প্লেসি ও সুনিল নারিনরা।
শেষদিকে দুর্দান্ত বোলিং করেন মেহেদি হাসান রানা, ডুয়াইন ব্রাভো ও মুজিব উর রহমানরা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় কুমিল্লা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। আফগান অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানের করা ওভারে ৭ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১০ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বরিশাল।
তবে হেরে গেলেও দুশ্চিন্তার কারণ নেই কুমিল্লার। আরও একটি সুযোগ থাকছে তাদের জন্য। প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দল চট্টগ্রামের সঙ্গে বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জিতলে শুক্রবার বরিশালের সঙ্গে ফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে কুমিল্লা।
জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত। এমন সমীকরণ সামনে রেখেই বিপিএলের অষ্টম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় বরিশাল-কুমিল্লা।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রিস গেইলের সঙ্গে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেন তরুণ ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। ৯ ওভার শেষে বরিশালের সংগ্রহ ছিল গেইলের উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান। খেলার এমন অবস্থায় অনুমেয় ছিল স্কোর দুইশ পার করতে পারে বরিশাল।
কিন্তু এরপর কিছু ভুলের কারণে শেষ ১১ ওভারে ৫৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩/৮ রানে ইনিংস গুটায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল: ২০ ওভারে ১৪৩/৮ রান (মুনিম শাহরিয়ার ৪৪, ক্রিস গেইল ২২, জিয়াউর রহমান ১৭, ডুয়াইন ব্রাভো ১৭, নুরুল হাসান সোহান ১১; শহিদুল ৩/২৫, মঈন আলী ২/২৩)।
কুমিল্লা: ২০ ওভারে ১৩৩/৭ রান (লিটন দাস ৩৮, মঈন আলী ২২, ফাফ ডু প্লেসি ২১, মাহমুদুল হাসান জয় ২০, সুনিল নারিন ১৭; মেহেদি হাসান রানা ২/১৫, শফিকুল ইসলাম ২/১৬, মুজিব উর রহমান ২/৩৩)।
ফল: বরিশাল ১০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মেহেদি হাসান রানা (বরিশাল)।