শাহাদত হোসেন, বিরামপুর দিনাজপুর:
মুসলিম সম্প্রদায়ের আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী বিরামপুরে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ভারতীয় মসলার দাম। কোরবানির ঈদ আর মাত্র ১৪ দিন বাকী। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ভারতীয় মসলার দাম। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মসলার দাম বেড়েছে। এসব মসলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারত থেকে বেশি মূল্যে আমদানি করতে হ"েছ বলে এসব মসলার দামও বেড়েছে বলে জানান অনেক বিক্রেতা।
রোববার ২জুন বিরামপুর নতুন বাজার মসলা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে মশলার দাম আরও ব"দ্ধি হতে পারে বলে আগে ভাগে অনেকে এসেছে মসলা কিনতে। ঈদের বাজার শুরু না হলেও এখনই সব মশলার দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা মশলা বিক্রেতা আয়ড়া মোড়ের নজরুল ইসলাম জানান, আমি আয়ড়া মোড় বাজারে খুচরা মশলা বিক্রি করি। ঈদ উপলক্ষ্যে আজ পাইকারি মশলা কিনতে এসে দেখি সব মশলার দাম বেড়েছে। জিরার দাম কয়েকদিন আগে ছিল ৬৮০টাকা বর্তমানে ১২০ টাকা দাম বেড়ে হয়েছে ৮০০টাকা হয়েছে। অন্য দিকে, সাদা এলাচ ৩২০০ টাকা কেজি থেকে ৩৪০০টাকা, দারুচিনি ৪৪০ টাকা থেকে ৫০০টাকা, বস ৮২০ টাকা থেকে ১০০০টাকা, কালো ফল ২৬০০ টাকা থেকে ২৮০০টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০টাকা, গোল মরিচ ৭৬০ থেকে ৮৬০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৭০টাকা, রসুন ২৪০থেকে ২৭০টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০টাকা হয়েছে।
পাইকারি মশলা বিক্রেতা সাবদার আলী মিলন জানান, আগের তুলনালয় এবার কোরবানি ঈদে মশলার বাজার একটু ওঠা নামা করছে। তবে ঈদ যত কাছে আসতেছে তত দাম বাড়ছে। আরেক মশলা বিক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, কোরবানি ঈদের আগে জিরাসহ সব ধরনের মসলার চাহিদা বাড়ে। এরফলে দাম ও বৃদ্ধি পায়। আর জিরা ও এলাচ ভারত থেকে হিলিতে আমদানি কর হয়। আমরা যারা ¯'ানীয় বাজারের বিক্রেতারা আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি।
মশলা ক্রেতা নিদ্দিক আলী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মশলার দাম অনেক বেশি। আমরা সাধারণ মানুষ দাম বেশির কারণে তেমন মশলা কিনতে পারছিনা। প্রতি বছর কুরবানির ঈদের আগেই সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। এবারও ঠিক তাই হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি কালো এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। সাদা এলাচ ২ হাজার ৮০০ কেজি দরে। আর আজ বিক্রি হ"েছ কালো এলাচ ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ও সাদা এলাচ বিক্রি হ"েছ ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।
আমদানিকারকেরা বলছে, ভারতেই নাকি জিরা ও এলাচের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হ"েছ। কুরবানির ঈদ পার হয়ে গেলে জিরাসহ সব ধরনের মসলার দাম কমে আসবে বলে আশা করছি।
সহকারি কমিশনার ভূমি মুরাদ হোসেন কবির জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নিয়মিত মশলার বাজার মনিটরিং করা হ"েছ। পাইকারি ও খুচরা বাজারে নির্ধারিত মুল্যে মশলা বিক্রির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্য চার্ট দোকানে টাঙানোর ও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী নির্দেশনা না মেনে চড়া দামে মশলা বিক্রি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যব¯'া নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: হাসান ইমাম তালুকদার
মোবাইল: 01711412874, 01712197481
ঢাকা অফিস: ৫০/১,পল্টন লাইন, পুরানা পল্টন,পল্টন, ঢাকা।
সিরাজগঞ্জ অফিস: হাউস নম্বর ৪০, মায়া কুঞ্জ, মোক্তার পাড়া, সিরাজগঞ্জ।
Design & Development By HosterCube Ltd.