স্টাফ রিপোর্টার, মো: আশরাফুল ইসলাম
চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর পাইকপাড়ায বড়ালনদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহাউৎসব চলছেই। ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ৮/১০ টি মিনিট্রাক/ মাটি টানার ট্রলি দিযে মাটি নেওয়া হচ্ছে।
ইতিপূর্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনা স্থলে যান এবং ভেক্যুর দুটি ব্যাটারি জব্দ করেন। তারপরও কিভাবে ভেকু চালু করে মাটি কাটছে,তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাপার যুগ্ন-সস্পাদক ও বড়ার রক্ষা আন্দোলনের সদস্য- সচিব এস এম মিজানুর রহমান চাটমোহর নির্বাহী অফিসারকে নিযমিত জানালেও কোনভাবেই বড়ালনদীর অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্দ করতে পারছে না। বিষযটি নিয়ে নদী রক্ষা ও পরিবেশ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১ জুন সন্ধ্যা থেকে আবারও মাটি কাটার মহাউৎসবে মেতে উঠেছে। বিষযটি নিযে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনাসহ বর্তমান
সরকারের ভাবর্মুতি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। চিহ্নিত একটি সিন্ডিকেট চক্র তিন/ চার মাস যাবত বড়াল এবং গুমানীনদী ও নিমাইচড়া গাঙে বাধাহীন ভাবে দাপটের সাথে মাটি ও বালু কেটে চলছে।
প্রশাসন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। বার বার আবেদন- নিবেতন এবং মানববন্ধন মিছিল- মিটিং হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেন নাই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করা যাচ্ছে।
আপরদিকে একাধিক অবেদনে নদীতে অবৈধভাবে মাটিকাটা বন্ধ এবং এ কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়। তারও কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নাই।