চৌহালী সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণঅঞ্চল বাঘুটিয়া ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে চরসলিমাবাদ ভুতের মোর এলাকা লন্ডভন্ড। শতবছরের চরসলিমাবাদ কবরস্থান যমুনা নদীতে ভাঙ্গছে কবরস্থান ভাসছে লাশ।
ভাঙ্গন হুমকিতে কারিগরি কলেজ, পয়লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসাসহ ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বাজার ও বসতি। পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে পানি বৃদ্ধিতে উপজেলায় ৪৮ কোটি টাকার নদী শাসন বাধ প্রকল্পে বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে ধস। ভুতের মোর বসতি, পাকা সড়ক, কবরস্থান নদী গর্বে বিলীন হচ্ছে।
ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা, মসজিদ, হাট বজার,রাস্তা-ঘাট,আবাদী জমি সহ বহু স্থাপনা ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর ভেঙ্গে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড পদক্ষেপ গ্রহন করলেও তা নগন্ন বলে জানান এলাকা বাসি।
মৃত্যুর পর শান্তিতে গুমাবো সে জায়গাও নদীতে যাচ্ছে, কবর ভেঙে লাশ নদীতে ভাসছে ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারনে গত কয়েকদিন যাবত জেলার চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নে হুমকির মধ্যে রয়েছে নদী শাসন বাধ, মিটুয়ানি হাইস্কুল, প্রাইমারি, দেওয়ানগঞ্জ বাজার, মসজিদ,বিনানই বাজার, বাঘুটিয়া ইউপি পরিষদ, সম্ভুদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আলিম মাদরাসা, বন্যা আশ্রয় ভবন,বাঘুটিয়া কারিগরি কলেজ, চৌবাড়িয়া সিকদার পারা কারিগরি কলেজ, কয়েকটি কবরস্থান,ঘরবাড়ি ফসলী জমি, বহু প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগিরা। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সহায় সম্বল হারিয়ে নিশ্ব এসব মানুষ ছেলে মেয়ে নিয়ে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ, কবরস্থান রক্ষা ও সিডিউল মোতাবেক বাধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সাব-ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর দক্ষিন এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কবরস্থান বসতি ও বাজার রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ে ২০ থেকে লক্ষাধি বস্তার প্রয়োজন।
কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম বলেন, নদীর কড়াল থেকে কয়েক বার কলেজ স্থানান্তর করে আমরা নিশ্ব। এখন ঘর নিয়ে কোথায় দাড়াবো, কলেজ ও কবরস্থান বাঁচাতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ কালাম মোল্লা বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে ডাম্পিং কাজ, শিক্ষা অঙ্গন, বাজার ও বাড়িঘর ভাঙন হুমকিতে, আমরা সাহায্য চায় না টেকশই বাধ ও জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি দেখতে চাই। ডাম্পিংই বদলে দিতে পারে বাঘুটিয়ার চিত্র।
ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, এই মুহুর্তে যদি ভাঙ্গন রোধের কাজ ও কবরস্থান রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ডাম্পিং আরও বাড়াতে হবে,তা- না-হলে বাঘুটিয়ার ভুতের মোর ও প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। এ কবরস্থানে আমার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শহিদুর রহমান লাল মিয়া, সাবেক মন্ত্রী, গুনিজন, মুক্তি যোদ্ধা গুমিয়ে আছেন, তাদের কবর জিয়ারত করার সুযোগ পাবোনা। কবরস্থান ও শিক্ষা অঙ্গন বাঁচাতে সকল সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ'লীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন ভুতের মোর এলাকা পরিদর্শন করেন এবং চৌহালীর পুর্ব অঞ্চল রক্ষায় সরকার ৪৮কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন, তারই আলোকে বাঘুটিয়া ভুতের মোর এলাকার শিক্ষা অঙ্গন সহ সবকিছু রক্ষা করতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত থাকবে । আমি পানি উন্নয়ন বোড ও এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে কাজের গতি বৃদ্ধি ও জিও ব্যাগ বাড়ানো হবে তিনি এপ্রতিবেদককে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: হাসান ইমাম তালুকদার
মোবাইল: 01711412874, 01712197481
ঢাকা অফিস: ৫০/১,পল্টন লাইন, পুরানা পল্টন,পল্টন, ঢাকা।
সিরাজগঞ্জ অফিস: হাউস নম্বর ৪০, মায়া কুঞ্জ, মোক্তার পাড়া, সিরাজগঞ্জ।
Design & Development By HosterCube Ltd.