চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাসমানের একযুগ পেরিয়ে গেছে, ভাঙ্গা-গড়া অবহেলিত যমুনা নদী বেষ্টিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রিমোড উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত লক্ষাধীক মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিজস্ব জমি চয়েস ও ভুমি অধিগ্রহণ করে অবকাঠামো গড়ুন- স্বাস্থ্য সেবা বাড়ান এমন দাবি সেবা বঞ্চিত চৌহালী বাসির।
দীর্ঘদিন বার বছর ধরে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে অস্থায়ী ভাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অবকাঠামো নির্মাণ। নিজস্ব জমিতে মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, পশু হাসপাতাল, ডাক বিভাগ, এলজিইডি, বিআরডিবি, থানা কমপ্লেক্স, শিক্ষা ভবন, ডাক বাংলা, খাদ্য গুদাম নির্মাণ থমকে আছে।
জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলিন হয়ে যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেথেকেই ভাসমান উপজেলা হাসপাতাল। তখনই উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে খাষকাউলিয়া সিদ্দিকী ফাজিল মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সর্তসাপেক্ষে মাদরাসার জায়গা নিয়ে দের কোটি টাকা ব্যায়ে সেমিপাকা টিনসেট ঘর উত্তোলন করে সরকারের অর্থায়নে। সেই থেকে অস্থায়ী ঘরে চলছে চিকিৎসা সেবা ও দাপ্তরিক কাজ।
সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা না থাকায় নদী পার হয়ে সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও টাংগাইল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী নিতে আকাশ সমান কষ্ট ও অর্থ ব্যায় হয়।
খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলায় জিমিয়ে আছে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা, অবকাঠামোর জন্য মিনিষ্টারির প্রস্তাব বড় প্রয়োজন, তাই বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ২০১২ সাল থেকেই আমরা কষ্ট করছি স্বাস্থ্যসেবা ও দাপ্তরিক কাজ নিয়ে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, সচল ও জনসার্থে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মাণে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সহ বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, মাসুদ রানা বলেন, অস্থায়ী ভাবে অন্যের জায়গায় স্বাস্থ্যসেবা ও দাপ্তরিক কাজ চলছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর নিজস্ব ৪ একর জমির প্রস্তাব আগেই পাঠানো হয়েছে উপজেলা পরিষদ এর পাশে কোদালিয়া গ্রামে, জমি একাউর ও অবকাঠামোর জন্য এখন দরকার মিনিস্টার প্রতিবেদন। রোগীর ভর্তির ব্যবস্থা, সেবার মান বৃদ্ধি ও স্টাফদের শতভাগ উপস্থিত সুনিশ্চিতে আমার নজর থাকবে, নিজস্ব জমি ও অবকাঠামো নির্মাণে সকল দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষা করে–তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে. অনুমোদন পাওয়া গেলেই দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।