১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় ভোর ৫:৪৭ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

জগন্নাথপুরের মেয়ে অজন্তা লন্ডনের বার্কিং অ্যান্ড ডেগেনহামের প্রথম বাঙালি কাউন্সিলর নির্বাচিত

প্রতিবেদক
joysagortv
ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মেয়ে অজান্তা দেবরায় লন্ডনের বার্কিং অ্যান্ড ডেগেনহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথম বারের মতো বাঙালী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির বেন সুটার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় লেবার পার্টির প্রার্থী অজান্তা দেবরায় ৭৭৪ ভোট পান অপরদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেন সুটার ৫৮০ ভোটপান। শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত ভিলেজ ওয়ার্ড এলাকায় দুজন নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। কাউন্সিলর লি ওয়েকার প্রয়াত এবং মার্গারেট মুলেন এমপি নির্বাচিত হলে পদ দুটি শূন্য হয়। উপ নির্বাচনে একটিতে অজান্তা দেব রায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন।
অজান্তা দেবরায়ের রাজনৈতিক ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১১ সালে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেন। এরপর তিনি লেবার পার্টির হয়ে মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি দেশে থাকাকালীন সময়ে ২০০১ সালে বাংলাদেশে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। সিলেট মুরারি চাঁদ কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখাকালীন সময়ে ভারতের বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হন।সেখান থেকে স্নাতক এবং পরবর্তীতে লন্ডনের ইউনির্ভাসিটি অব চেস্টারশায়ার থেকে এমবিএ ও লন্ডনের সোয়াস থেকে পলিটিক্স রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের ঐয়ারদাস গ্রামের শিক্ষানুরাগী সমাজকর্মী জোর্তিময়দেব রায় ও গৃহিণী মা রমা রানী দেবের জ্যোষ্ঠ কন্যা তিনি । দাম্পত্য জীবনে তিনি একপুত্র ও কন্যা সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী একজন সাংস্কৃতিক কর্মী।
তাঁর বাবা জোর্তিময়দেব রায় জানান,স্কুল কলেজে পড়াকালীন থেকেই আমার মেয়ে রাজনীতি ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করত। লন্ডনে গিয়ে সে পুরোদমে এসব নিয়ে কাজ করেছে। প্রথম বাঙালি হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে দেশ ও আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাঁর গৌরবে আমরা গৌরবান্বিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত