জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও তার কেয়ারটেকার থেকে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর ভূমি জবর দখলের হুমকি দিচ্ছে একদল চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু। উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আহমদাবাদ কুবাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহ সুবা চৌধুরী, শাহ শাহাব চৌধুরী ও ঈদুজ্জুহা চৌধুরী গংদের ভাতিজা ও কেয়ারটেকার মোঃ রাহিম চৌধুরী বাদী হয়ে একই এলাকার খলিল মিয়া চৌধুরী, লুবন মিয়া চৌধুরী, ছাতির মিয়া চৌধুরী, ইয়াওর মিয়া চৌধুরী, নাইম মিয়া চৌধুরী ও সায়েক মিয়া চৌধুরীকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং০১তারিখ ০১/১১/২০২৪ইং।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শাহ সুবা চৌধুরী, শাহ সাহাব চৌধুরী এবং ঈদুজ্জুহা চৌধুরী গং সপরিবারে লন্ডন বসবাস করেন। মামলার বাদিসহ আরো কয়েকজন তাদের সম্পত্তি দেখাশুনা সহ রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া আসিতেছে। বিবাদীগণ দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের ধানী জমি, বাগানবাড়ী বাগান বাড়ির ভিতরে থাকা পুকুর, খামারবাড়ির লেক জোরপূর্বক দখলের প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকিয়া বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে।
মামলার বাদীর চাচা এবং প্রবাসীদের আপন চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আফাজ চৌধুরী যিনি প্রবাসীদের সহায় সম্পত্তির একজন কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব লালন করে আসছেন এবং বিবাদীদের হুমকী দামকী ও মারমুুখী আচরণের বিপরীতে বাদী ও বাদীর চাচা আফাজ চৌধুরী থানা সহ আদালতে একাধিক মামলাও অভিযোগ দায়ের করে। যাহা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে। যার কারনে বিবাদীগণ বাদীসহ তার চাচা আফাছ চৌধুরীর নিকট চাঁদা দাবি করিয়া আসিতেছে। মামলার বাদী মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, আমরা যদি বিবাদীদেরকে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিয় তবে তাহারা আমার প্রবাসী চাচাদের বাগানবাড়ী জবরদখল করিয়া নিবে। এমনকি আমার চাচারা দেশে আসলে তাদেন হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবে। বিষয়টি আমার প্রবাসী চাচাদের অবগত করিয়া রাখি এবং বিবাদীদের চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। আমরা চাঁদা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করার কারণে বিবাদীগণ আমাদের চাচাদের জলামহলে আমাদের ফেলা কাটার উপর জোরপূর্বক কাটা ফেলে। এছাড়া বিবাদীগণ আমার চাচাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করো। ঘটনা দেখিয়া আমরা বিবাদীদেরকে বাধা দিলে আমাদেরকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে এবং আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। যাহার জেরে ০২/১০/২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুমান দশ ঘটিকার সময় আমি বাগানবাড়ি ভিতরে ৯টি পুকুরের মাছের খাওয়ার দেওয়ার কাজ করা কালীন বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্র অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতা মিলিত হইয়া বাগানবাড়িতে প্রবেশ করিয়া বিবাদী খলিল চৌধুরী তার হাতে থাকা রামদা নিয়া আমার প্রবাসী চাচাদের অশ্লীল বাসায় গালিগালাজ করতে থাকে বিবাদী খলিল মিয়া চৌধুরী সহ তার সহযোগী অপুর বিবাদীরা আমার নিকট আসিয়া আমাকে বলে যে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিয়া বাগানবাড়িতে কি করিস? বাগানবাড়িতে কোন কাজ করিতে হইলে আমাদেরকে চাঁদার বিশ লক্ষ টাকা প্রদান করিতে হইবে অন্যথায় বাগান বাড়িতে কোন কাজ করিতে পারিবে না এমনকি তোকে খুন জখম করিয়া লাশ গুম করবো। বাগান বাড়িসহ সহায় সম্পত্তি সবকিছু দখল করিয়া নিব। সকল বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র অস্ত্র প্রদর্শন করিয়া আমার উপর উত্তেজিত হইয়া আমাকে টেলা ধাক্কা কিল, ঘুসি লাথি মারধর করে আমার শরীরে লীলা ফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে ১,২ও৩ নং বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা রামদা আমার গলার পাশে ধরে আমাকে প্রানে হত্যার ভয় প্রদর্শন করে আমার নিকট থাকা মাছের খাবার ক্রয়ের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমার চিৎকারে বাগান বাড়িতে থাকা অন্যান্য শ্রমিকগন ও আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে বিবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। বিবাদিগণ চলিয়া যাওয়ার সময় এ বলিয়া হুমকি দেয় আমি যদি তাদের দাবীকৃত ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান না করি তাহলে আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে পরবর্তীতে আমি বিষয়টি আমার প্রবাসী চাচাদের অবগত করিয়া রাখি। মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করেন বিবাদীগণ ৩ অক্টোবর অনুমান সাড়ে তিন ঘটিকার সময় পূর্বের ন্যায় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বাগানবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে বাগান বাড়ির কন্ট্রোলরুমে প্রবেশ করিয়া বিবাদীগণ কন্ট্রোল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে অনুমান আট হতে নয় লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করে। বাগান বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীরা বিবাদীদেরকে বাঁধা নিষেধ করলে তাদের পূর্বের দাবিকৃত ২০ লক্ষ টাকা না দেওয়ার কারণে তারা সকল কিছু ভাঙচুর করিবে এবং বাগানবাড়ি দখল করিবে। কেহ তাদেরকে বাঁধা নিষেধ করলে খুন করিবে বলে হুমকি প্রদান করে। এই সময় ৫ ও ৬ নং বিবাদী বাগান বাড়ির কন্ট্রোলরুমের ড্রয়ারে রক্ষিত ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যা এ সময় আমি বাধা নিষেধ করিলে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় চাপা দিয়া ধরিয়া শ্বাসরুোদ্ধ করে। আমি দস্তা দস্তি করিয়া এবং আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া বিবাদীদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। বর্তমানে আমিসহ বাগান বাড়ীতে কর্মরত শ্রমিকগন চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভোগিতেছি।আমাদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।