মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, পেয়াজ, ভোজ্যতেল ও মাছ। এ ছাড়াও উপজেলা সদরে ডিমের দাম কমলেও কমেনি মফস্বলে। জগন্নাথপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে মান ভেদে প্রতি কেজি আলুর ৬০-৭০ টাকা বেগুন ৭০-৮০টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, কপি ৭০ টাকা, পেপে ২০-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা। এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। এর মধ্যে টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৪০ টাকা, মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লালশাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাউশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এ সপ্তাহে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। যা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়।
এদিকে পেঁয়াজ আলু ভোজ্য তেলের দাম নিয়ে নেই কোন উদ্যোগ, বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম কমাতে শুল্ক ছাড় দেওয়ার পরও কমেনি পণ্য দুটির দাম, উল্টো বাড়ছে। ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক ও স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসকে ছাড় দিয়েছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মনে করে, এর ফলে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। দাম বাড়ছেই। এদিকে, বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। যা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
জগন্নাথপুর কাঁচা বাজারের একাধিক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, “সরবরাহ বাড়ায় কয়েকটি সবজির দাম সামান্য কমেছে। সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই, বরং আরও কমবে। জগন্নাথপুর কাঁচা বাজারে আসা দুই ক্রেতা ফাতেমা ও সাহিদা জানান, অনেকটাই কমে এসেছে শাক- সবজির দাম। ডিমের দামও কমেছে। সরকার মনিটরিং বজায় রাখলে বাজার নাগালে রাখা সম্ভব।