১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় দুপুর ২:৪১ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

জগন্নাথপুরে সম্প্রীতির উজ্জল নিদর্শন এক পাশে মসজিদ অন্য পাশে মন্দির

প্রতিবেদক
joysagortv
অক্টোবর ১৭, ২০২৪ ৪:১৭ অপরাহ্ণ

মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:

জগন্নাথপুরে রাস্তার একপাশে রয়েছে মসজিদ। অন্য পাশে রয়েছে মন্দির। মসজিদে মুসলমানরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন নামাজ আর মন্দিরে পূজা উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর লোকজন। সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের সাক্ষী হয়ে আছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর শহরের আল মদিনা জামে মসজিদ ও জগন্নাথপুরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়া। বিগত বুধবার থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এদিন দর্শনার্থী ও ভক্তদের ঢল নামে মন্ডপে। মন্দিরের গেইট এলাকায় কয়েকজন আনসার সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে কাজ করছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর পেরৈসভার জগন্নাথপুর এলাকায় প্রাচীনতম হিন্দু সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়া স্থাপিত হয়। এ মন্দিরে বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। মন্দিরের পাশেই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জুনেদ মিয়ার অর্থায়নে আল মদিনা জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল আহমদ জানান, যুগের পর যুগ জগন্নাথপুরে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন একসঙ্গে  মিলেমিশে সমাজে বসবাস করে আসতে দেখেছি। বিভিন্ন সামাজিক কাজে আমরা সম্পৃক্ত। আমাদের মাঝে এমন সম্প্রীতির সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে যা বলাবাহুল্য।

আল মদিনা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন একরামুল হোসেন বলেন, পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দির স্থাপিত হলেও আমরা আমাদের ধর্ম পালন করছি। হন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করছেন। ইসলামে সকল ধর্মকে সম্মান করার নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের নামাজের সময় পূজার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না।

শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার সভাপতি শুধাংসু শেখর রায় জানান, এ মন্দির স্থাপনের নিদিষ্ট তারিখ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে প্রায় সাতশত বছর পুর্বে এ মন্দির স্থাপিত হয়েছে। এখানে দুর্গাপুজাসহ সবধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি থাকায় কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জগন্নাথ জিউর আখড়ার পুজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি বিভাষ দে  বলেন, বাপ দাদা যেভাবে ধর্মীয় সকল অনুষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছেন। আমরা একইভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ধমীয় উৎসব করে আসছি। আমরা হিন্দু-মুসলিম একে অপরের সঙ্গে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করে আসছি। আমাদের বৃহৎ পূজায় অনেক মুসলিম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। মুসলমাদের নামাজের সময় আমাদের অনুষ্ঠান আমরা বন্ধ রাখি। নামাজ শেষ হলে আবার অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে করে কারো কোনো সমস্যা হয়না।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ  বলেন, জগন্নাথপুর থানায় আমি নতুন এসেছি। এখানে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এক সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - সিরাজগঞ্জ নিউজ