আবিদ হাসান জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
আগামী ৩০ জুন সারাদেশে একযোগে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত তখন প্রবেশপত্র না পেয়ে হতাশায় ভুগছে জামালপুর শহরের বেলটিয়ায় শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ৯৬ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানরা দুইবছর এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছে। তারা নিয়মিত বেতন, ফি পরিশোধ করেছে। ফরমফিলাপ ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হলেও তাদের ফরম ফিলাপ ও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। পিন্সিপালের অবহেলায় তাদের সন্তানদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২৩ জুন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রবেশপত্র নিতে গিয়ে জানতে পারেন তাদের প্রবেশপত্র আসেনি। এরপর পরীক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে প্রবেশ পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে কলেজ পর্যায়ের কোনো অনুমোদন নাই। ফলে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ হয়নি।
শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবীর জানান, এ ঘটনায় কলেজের প্রিন্সিপাল রেজাউল ইসলাম সেলিমকে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি দিয়েছে পরিচালনা পর্যদ। যেসব শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, তাদের সঙ্গে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের কোনো সম্পর্ক নাই বলেও দাবি করেন তিনি ।
শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল রেজাউল ইসলাম সেলিম টেলিফোনে জানান, এখনও সময় আছে সব ঠিক হয়ে যাবে।
জামালপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার পাঠদানেরই অনুমতি নেই। সেখানে তারা কিভাবে এতগুলো শিক্ষার্থীর কাছে থেকে রেজিস্ট্রেশন ও ফরমফিলাপের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তা বোধগম্য নয়। তাই এ ব্যাপারে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেবেন তারা।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, এইচ.এস. সি’র পাঠদানের অনুমতি না থাকার পরেও “শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ও ফরমফিলাপের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তদন্ত সাপেক্ষে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।