মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার :
ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ উপজেলার ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত শাহাপুর-ছোট ঘিঘাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ে কমন রুমের ওয়াশ রুম করার জন্য ব্রাক ওয়াস প্রকল্প এর আওতায় ২০০১-২ ইং সালে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ওয়াশরুম করে দেয়। তারপর এডিপি প্রকল্পের একটি ওয়াশরুমে বাজেট আসে যার ব্যায় ধরা ছিল প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এ ডি পির প্রকল্পে ওয়াশ রুম না করে ব্রাকের ওয়াশ প্রকল্প নাম মুছে দিয়ে এডিপি প্রকল্পের নাম লেখা হয়। এখানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর আরেকটি প্রকল্প আসে এল বি জি এস আই-৩ প্রকল্পের ওয়াশরুম বাজেট ছিল প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। এডিপি প্রকল্পের নাম মুছে দিয়ে এল বি জি এস আই-৩ নাম লেখে ওখানেও প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। এই বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় এর সাবেক দুইবারের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ছানার কাছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক এত অনিয়ম হচ্ছে জেনেও মুখ খোলার সাহস পাইনি। নাম না বলার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন সাবেক সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্য ছিল দুঃসাহসিক। গত ১২/০১/২০২৩ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবে আনোয়ারা খাতুন, নিরাপত্তাকর্মী সিরাজুল ইসলাম, আয়া পদে মোসাম্মদ প্রিয়া সুলতানা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ হাসানুজ্জামান এই চারজনকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা নিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের দুইবারের সাবেক সভাপতি। এদের কারসাজিতে লক্ষ লক্ষ টাক আত্মসাৎ করে। তাই অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এর সুষ্ঠু প্রমান সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সাবেক এমপি আনারের নিকটতম লোক হওয়ায় তার অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায়নি। এলাকাবাসী নজরুল ইসলাম ছানা চেয়ারম্যানের টাকা আত্মসাতের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।