মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল, স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ সমন্বয়কের হাত ধরে ও রংপুরের পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে শোকরানা সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীর ঝিনাইদহ-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। তিনি আরো বলেন, এই বিজয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে। সকলকে হানাহানি লুটপাট বন্ধ করার আহবান জানান।
জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদের সারা রাত জেগে জান মালের নিরাপত্তা দেবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শাহাদৎ বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। শুক্রবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে মেইন বাজার চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার আমীর মোঃ আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামি কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যার মওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যার মোঃ মোয়াবিয়া হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সরকারি কে এম এইচ কলেজের সাবেক ভিপি ও মহেশপুর উপজেলা আমীর ফারুক আহমেদ, কুশান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খান টিটো, দোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাক, বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহআলম, সাফদারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা আজগার আলী, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মনিরুজ্জামান মিঠু, কোটচাঁদপুর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আনাছ উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাফেজ মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জামায়াত ইসলামি নেতা শহীদ ইনামুল হকের সন্তান সাকিব আল হক প্রমুখ। শোকরানা সমাবেশ পরিচালনা করেন জামায়াতে ইসলামী কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ শরিফুল ইসলাম। সে সময় শোকরানা সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামি ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন দায়িত্ব শীল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।