মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার :
ঝিনাইদহে সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নগরবাথান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র সোহান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের নগরবাথান গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সোহানের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখকরে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭) জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, সাকিব ও তার অজ্ঞাত বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সোহানের পিতা শহিদুল ইসলাম ছেলেকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায়, সে খুব ঝামেলায় আছে। এরপর সোহানের পিতা সাকিবকে ফোন করে। এ সময় ফোন ধরে সাকিব গালিগালাজ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোহানের পিতাকে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেয়। খবর পেয়ে সোহানের বাবা হাসপাতালে যান এবং দেখতে পান সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত। নিহত সোহানের পিতা অভিযোগ করেন হাসপাতালে থাকতেই খুনি সাকিবের পিতা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোন ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেয়। এছাড়া সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেয় পুলিশ গেলে আমি যেন তাদের বলি সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এদিকে সোহানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসি জানায়, সাকিবের ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা ঢাকায় মানুষের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির ব্যবসা করে। এই অপকর্ম করে তারা ইতিমধ্যে ঢাকা ও ঝিনাইদহ শহরের একাধিক স্থানে বহুতল ভবন ও জায়গা জমি কিনেছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। তাই এ বিষয়ে তার জানা নেই।