মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার:
মহান মুক্তিযুদ্ধের ভয়াল ২৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক কামান্না দিবস উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বগুড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে ২৭ শহীদের গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বীরমুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস লুৎফর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল এফ এফ ফাউন্ডেশন এর মহাসচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার সদস্য খ, ম আমীর আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর সাবেক কমান্ডার রহমত আলী মন্টু, মাগুরা জেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা কমান্ডের যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবু জাফর ফিরোজ প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান লাল ও আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান আসাদ, ইসরাইল হোসেন, রইসউদ্দিন, মেহেরআলী, নজরুলইসলাম, বগুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান খান দিপু, নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মাখন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৬ নভেম্বর ভোররাতে হানাদারপাকিস্তানীবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনী শৈলকুপার কামান্না গ্রামে ঘুমিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অতর্কিত গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে২৭ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ২ জন সাধারণ মানুষকে। এরা হলেন মোমিন, কাদের, শহিদুল ইসলাম, সলেমান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল ওয়াহেদ, রিয়াদ, আলমগীর হোসেন, আব্দুল মোতালেব, আলী হোসেন, শরিফুলইসলাম, আনিসুররহমান, আলিমুজ্জামান, তাজুলইসলাম, মনিরুজ্জামান, নাসিম, রাজ্জাক-২, কওসারআলী, আব্দুল মালেক, আব্দুল আজিজ, আকবর হোসেন, সেলিম, হোসেন, রাসেদ, গোলজার আহমেদ, অধির, গৌর এবং ফনিভূষণ ও রঙ্গবিবি।
প্রতিবছর দিবসটি উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল-এর আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধারা। আলোচনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কামান্নার শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর স্থাপনের আহ্বান জানান।