মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল, স্টাফ রিপোর্টার :
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর ক্ষুদ্র রয়েড়া থেকে খালফলিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। ৪০ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি, এ রাস্তা দেখলে মনে হবে, এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য চাষের জমিতে হাল চাষ করা হয়েছে। প্রতিবাদ স্বরুপ গ্রামবাসীরা ধানের চারা রোপণ করেছে। কাঁচা রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে কোন গাড়ি চলাচল করতে পারে না। গাড়ি নিয়ে চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলেরও কোনো অবস্থা নেই। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের এর ক্ষুদ্র রয়েড়া থেকে খালফলিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার ৪০ বছরের কাঁচা রাস্তা। এযাবতকাল রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ না নেওয়ায় কোথাও কোথাও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে জমে আছে পানি আর কাদা। দেখে মনে হয় চাষের জমি। ১ কিলোমিটার রাস্তার এপাশ ওপাশে রয়েছে প্রাইমারি, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে পুরো রাস্তা। গ্রামবাসীরা ধানের চারা রোপণ করছে। ক্ষুদ্র রয়েড়া গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, এ এলাকায় ৬০০ পরিবারের প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়। রাস্তার বিষয়ে অনেকবার চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। খালফলিয়া স্কুলের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন বলেন, আমাদের এ এলাকা থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে ও মাদরাসায় যায়। বর্ষাকালে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে আমাদের কষ্ট হয়। অনেক সময় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। কাঁচা রাস্তাটি দ্রæত পাকা করে দিলে এলাকাবাসীসহ সবার উপকার হবে। ইউপি সদস্য রোজদার হোসেন বলেন, রাস্তাটি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। পাশেই রয়েছে স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির। কিন্তু কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষায় চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আশা করি জনগণের কথা চিন্তা করে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।