মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের শৈলকুপার স্ট্রিলের সেতুটি পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে ব্রীজের পাটাতন। ভেঙে গেছে ব্রীজের নিচের লোহার পাত। অনেক পাশের নাটও খুলে গেছে। পুরো ব্রীজের বেশিরভাগ স্থানে দেবে গেছে পাটাতন। উপায় না পেয়ে তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও। জানা যায় ১৯৯৫ সালে গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কের
কুমার নদের উপর ১১২ মিটার এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। সেসময় সড়ক ও জনপথের অধিনে থাকলেও বর্তমানে এটি এলজিইডির আওতাধীন ব্রীজটি। নদী পারাপারের একমাত্র এই ব্রীজটি গত কয়েকবছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবারো ফিরছে একই অবস্থায়। দিনে রাতে জং ধরে ছিদ্র হওয়া গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা আহত হচ্ছে অনেকে। বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, স্ট্রীলের এই ব্রীজ দিয়ে গাড়াগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু ব্রীজের অনেক স্থানে জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। মাঝ থাকে লোহার পাত ভেঙে যাওয়ায় গাড়ী চললে দেবে যাচ্ছে। যেকোন সময় ভেঙে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই গ্রামের নাদির শেখ বলেন, ব্রীজের মাঝ থাকে গর্ত হওয়ার কারণে প্রায় প্রায় সেই গর্তে পড়ে মানুষের হাত পা কেটে যাচ্ছে। সাইকেল আটকে গিয়ে মানুষ মুখ থুবড়ে পড়ছে। প্রায় প্রায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই সড়কে চলাচলাকারী আলম উদ্দিন নামের এক করিমন চালক বলেন, আমরা তো ভয়ে ভয়ে ব্রীজটি পার হচ্ছি। মাঝখানে ব্রীজের নিচের লোহার পাত ভেঙে গেছে। যে কারণে গাড়ী নিয়ে আসলে ওই অংশে উপরের পাত নিচু হয়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় পাত ভেঙে নদীতে পড়লে মানুষের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। পারভেজ হোসেন নামের এক গাড়ী চালক বলেন যখনই ব্রীজের মাঝখানে গাড়ী যাচ্ছে তখন পাত নিচু হয়ে যাচ্ছে। কখন জানি ভেঙে যায় এ ভয়ে সবাই পারাপার হচ্ছে। আমরা চাই দ্রত ব্রীজটি সংস্কার করা বা নতুন করে ব্রীজ নির্মাণ করে এ সমস্যা সমাধান করা হোক। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু আপাতত নতুন কোন ব্রীজ ওখানে নির্মাণ করার পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য আমরা মেরামত করছি। আগামীতেও এই মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।