২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৫:৫৪ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

ডোমারের সাবেক এমপি ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিবেদক
joysagortv
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আজমির রহমান রিশাদ, ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা :

বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার ও ডোমার থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর ডোমার আমলী আদালতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ মাসুদ বিন আমিন সুমন মামলাটি দাখিল করলে বিচারক মেহেদি হাসান আমলে নিয়ে ডোমার থানাকে এফআইআর করে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবু মোঃ সোয়েম।

অভিযোগে বাদী দাবী করেছেন, মামলার ১নং আসামি  সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার উদ্যেশ্যে মামলার ২নং আসামি তৎকালীন ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে গোপনে শলা-পরামর্শ করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর মামলা হামলা সহ নির্বিচারে নির্যাতন শুরু করে এবং তাদেরকে ধরে নিয়ে থানায় চাঁদার টাকা আদায় করতে থাকে। চাঁদার টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো।

এরই প্রেক্ষিতে, ২০১৫ সালের ১৪ই মার্চ সন্ধ্যায় ডোমার শহরের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন সাধন ভৌমিকের চায়ের দোকানে তৎকালীন যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমিন সুমন যুবদল নেতা হারুন, পারভেজ ও রতন আলী সহ চা খেতে আসেন। সেই সময় ওসি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ৩০-৪০ জন পুলিশ সদস্যসহ দোকানে এসে তাদেরকে চায়ের দোকান থেকে বের করে মাসুদ বিন আমিন সুমনের উপর কোনো কারণ ছাড়াই লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এসময় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

সেসময় স্থানীয় বিএনপি কর্মী ও যুবদল নেতারা প্রতিবাদ করলে ওসি মোয়াজ্জেম এবং তার পুলিশ সদস্যরা মামলার বাদী সুমন এবং যুবদল নেতা হারুন,পারভেজ ও রতন আলীকে লাঠিপেটা করতে থাকলে সুমন মাটিতে লুটে পড়ে। তখন পুলিশ সদস্যরা তাকে চ্যাংদোলা করে যুবদল নেতা হারুন পারভেজ ও রতন আলীকে পুলিশ ভ্যানে করে ডোমার থানায় নিয়ে আসে। ডোমার থানায় নিয়ে আসার পর ওসি মোয়াজ্জেম মামলার ১নং আসামী সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশ পেয়ে মাসুদ বিন আমিন সুমনের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী। আরও উল্লেখ ছিল, মাসুদ বিন আমিন সুমন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ওসি মোয়াজ্জেম লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাথারী মারতে থাকে এবং হুমকী দেয় যে, ডোমার-ডিমলায় বিএনপির লোকজন রাজনীতি করতে পারবে না। এখানে আওয়ামী লীগের এমপি আফতাব ছাড়া কারো কথা বলা যাবে না বলে তাকে কিল ঘুষি মেরে হাজত খানায় আটকে রাখে। এর কিছুক্ষণ পর ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে একজন পুলিশ সদস্য মামলার বাদী সুমনের বুকে বন্দুক ঠেকাইয়া হুংকার দিয়ে বলে এই দেশে বিএনপির থাকার কোনো অধিকার নেই। তোকে ক্রসফায়ার করে দিবো। বিএনপির কর্মীদের থাকতে হইলে চাঁদা দিতে হবে। তা নাহলে মেরে লাশ গুম করে দিবো।

চাঁদা না দেয়ায় ঘটনার পরের দিন ১৫ই মার্চ তাদের চোখ বেধে হাতকড়া পড়িয়ে চারজনকে নীলফামারীতে নিয়ে আসে এবং অগ্নিসংযোগ, ভোটকেন্দ্রে হামলা ও নাশকতার ২টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এখনো তারা সেই মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছে। সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশে ২নং আসামি ওসি মোয়াজ্জেমের পরিকল্পনায় অজ্ঞাত নামা ৩০-৪০ জন আসামি সুমন সহ ৪ জনকে অবৈধ ভাবে আটক করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং মৌলিক অধিকার হরণ পূর্বক চাঁদা দাবী করে ক্রসফায়ারের উদ্দ্যেশ্যে বন্দুকের নল তাক করে অপরাধ করেছেন বলে জানান মামলার বাদী বিএনপি নেতা মোঃ মাসুদ বিন আমিন সুমন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত