সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি না হওয়া স্পষ্টভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং নাগরিকদের সুরক্ষায় রাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি।
সংস্থাটি জানায়, আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশের দুই নেতৃস্থানীয় সাংবাদিক সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনির অমীমাংসিত হত্যা মামলার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যারা এক দশক আগে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২-এ নিহত হয়েছিলেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্যের অধিকার (আরটিআই) নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে জাতিসংঘের একজন এক্সপার্টও এই মামলার দ্রুত বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।
আর্টিকেল নাইনটিন জানায়, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত। এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০২১ এর ২ মার্চে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে হলফনামা আকারে জমা দেওয়া র্যাবের একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি এ হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এ বিষয়ে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, এই অমীমাংসিত মামলাটি দায়মুক্তির সংস্কৃতির শক্তিশালী অস্তিত্বের একটি লজ্জাজনক উদাহরণ। যা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যেখানে হত্যাকারীরা মুক্ত থাকে। এটি সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো অপরাধের বিচার করতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়।