– দুই যুগের সিন্ডিকেট
– ৫ জুলাইয়ের পরে সিন্ডিকেটের হাতবদল হয়ে যায়
– মানববন্ধন শুরুর আগে মানববন্ধনের মাইক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক ও সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক
– আগের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামারুজ্জামানকে শোকজ করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্টার । তারপর তাড়াশ দলিল লেখক সমিতি ভেঙে দিতে বাধ্য হন সভাপতি কামারুজ্জামান
– ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন ২০২৪ না মানার কারণে কবলা দলিলে প্রতি লাখে ছয় হাজার পাঁচশ টাকার স্থলে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত গুণতে হয় ভূমি ক্রেতাদের। দানপত্র দলিলে দিতে হয় দুই হাজার টাকার স্থলে চৌদ্দ হাজার টাকা
– ভূমি রেজিস্ট্রেশনের টাকা নিয়ে কোনো রশিদ দেওয়া হয়না ভূমি ক্রেতাদের
– বৃহস্পতিবার দুপুর পরে অফিসে আসেন কথা বলবো – তাড়াশ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার
– সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমানের সাথে কথা বলবো সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে – উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
– তাড়াশ দলিল লেখক অফিসের খোঁজ খবর জেনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে -জেলা রেজিস্টার
গোলাম মোস্তফা :
দলিল লেখকদের দুই যুগের সিন্ডিকেটের জিম্মিদশা থেকে মুক্তির দাবিতে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে মানববন্ধন হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ প্রেসক্লাব চত্বরে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার মাধ্যমে।
গোলাম মোস্তফা নামে একজন স্থানীয় সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী জনস্বার্থে এ মানববন্ধন আহ্বান করেন। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারন লোকজন।
এদিকে মানববন্ধন শুরুর আগে মানববন্ধনের মাইক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক ও সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তাড়াশ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল বারিক খন্দকার, পৌর জামায়াতে ইসলামের সভাপতি কাওছার আহমেদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নীরব খান, চলনবিল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. এম এ সাত্তার বিলচলনী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন ২০২৪ না মানার কারণে কবলা দলিলে প্রতি লাখে ছয় হাজার পাঁচশ টাকার স্থলে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত গুণতে হয় ভূমি ক্রেতাদের। দানপত্র দলিলে দিতে হয় দুই হাজার টাকার স্থলে চৌদ্দ হাজার টাকা। বিশেষ করে ৫ জুলাইয়ের পরে সিন্ডিকেটের হাতবদল হয়ে যায়। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাহাদত হোসেন আহ্বায়ক কমিটি করে সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন।
স্বাগত বক্তব্যে সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, সাংবাদিকদের লেখায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামারুজ্জামানকে শোকজ করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্টার। তারপর তাড়াশ দলিল লেখক সমিতি ভেঙে দিতে বাধ্য হন সভাপতি কামারুজ্জামান।
বক্তারা আরো বলেন, ভূমি ক্রেতাদের জিম্মি করে অনুরূপভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তাড়াশ দলিল লেখক অফিসের আহ্বায়ক কমিটি। ভূমি রেজিস্ট্রেশনের টাকা নিয়ে কোনো রশিদ দেওয়া হয়না ভূমি ক্রেতাদের। তাড়াশ দলিল লেখক অফিসের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। বিধি মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্দে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলছি।
তাড়াশ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পরে অফিসে আসেন কথা বলবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমানের সাথে কথা বলবো সিন্ডিকেট ভাঙার বিষয়ে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্টার শরীফ তোরাব হোসেন বলেন, তাড়াশ দলিল লেখক অফিসের খোঁজ খবর জেনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।