গোলাম মোস্তফা, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিকল্প সড়কের ব্যবহার না করে পৌর শহরের বাজারের ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে গরু নিয়ে চলে অসংখ্য ভটভটি ও নসিমন। বিশেষ করে সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গবার দিন শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা হাটে গরু বেচাকেনা করতে যান বেপারী ও গেরস্তরা।
এদিকে বাজারের একমাত্র সরু রাস্তা দিয়ে ভটভটি ও নসিমন চলাচলের কারণে যানজটে আটকে পড়ে অন্যান্য লোকজন। এ সময়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় যানজট পরিস্থিতি। মাঝে মধ্যে ঘটে দুর্ঘটনা।
তাড়াশ সিএনজি গ্যারেজ এলাকার সাদ্দাম হোসেন নামে একজন পেট্টোলের দোকানদার বলেন, গত শনিবার ৯টি গরুসহ একটি ভটভটি সিএনজি গ্যারেজ মোড়ে উল্টে পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। তখন ভটভটি চালকসহ কয়েকজন বেপারী পানিতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু ২টি গরুর মারাত্মকভাবে জখম হয়, শিং ভেঙে যায়।
তাড়াশ হাসপাতাল গেটের ওষুধের দোকানদার জিল্লুর রহমান বলেন, হাসপাতালের সামান্য অদূরে তিন রাস্তা মোড়। ভূয়াগাতী সড়ক, সলঙ্গা সড়ক ও তাড়াশ সদরের প্রবেশ পথ। এই তিন রাস্তা দিয়ে সারাদিন বহু যানবাহন তাড়াশে আসে ও বেড় হয়ে যায়। এখানে যানবাহন ও যাত্রীসাধারণের পাশাপাশি হাসপাতালের অনেক রোগী যানজটে আটকা পড়ে গরুর ভটভটি ও নসিমনের চাপে।
অপরদিকে তাড়াশ উপজেলা নাগরিক আন্দোলনের আহ্বয়াক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, নিত্য প্রয়োজনে প্রতিদিন হাজারো মানুষ উপজেলা সদরে আসেন। তাড়াশ পৌর শহর হলেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি অদ্যাবধি। শহরের বেশিরভাগ রাস্তা সরু। নাই ট্রাফিক পুলিশ। এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। তারপরেও গরুর ভটভটি ও নসিমনের চালকেরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছেননা। ফলে যানজটের কবলে পড়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
জানা গেছে, গরুর অধিকাংশ ভটভটি ও নসিমন আসে তাড়াশের পশ্চিম এলাকার চাটমোহর, গুরুদাসপুর, মৌখাড়া ও বড়াইগ্রাম থেকে।
ভুক্তভোগীরা বিকল্প সড়ক হিসাবে তাড়াশের মান্নাননগর সড়ক, তাড়াশের উত্তর ওয়াপদা বাঁধ সড়ক ও ভূয়াগাতী সড়ক দিয়ে চান্দাইকোনা হাটে গরু বেচাকেনার মরামর্শ দিয়েছেন।
কয়েকজন গরুর ব্যপারী ও গেরস্ত বলেন, বাধা নেই তাই বাজারের রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি শনিবার ও মঙ্গবার বাজারের রাস্তা দিয়ে গরুর ভটভটি ও নসিমন চলাচল করায় যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ভটভটি ও নসিমনগুলো বেলা ৯টার দিকে বাজারের রাস্তা দিয়ে একের পর এক চলতে শুরু করে। আবার বিকেলে ফিরে আসে গরু কিনে, নয়তো বেচে। ফলে অনুরূপ দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলাবাসীকে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক খালিদ হাসান বলেন, গরু বেচাকেনার জন্য ভটভটি ও নসিমনগুলোকে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।