উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :
নড়াইলে রাতভর বৃষ্টিতে মুচিপোল সহ শহরের ঘরবাড়িতে ঢুকেছে জল। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। জমে থাকা পানি মাড়িয়ে যাচ্ছে দুই শিশু। সকালে শহরের মুচিপোল, ভাদুলিডাঙ্গা এলাকায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। জমে থাকা পানি মাড়িয়ে যাচ্ছে দুই শিশু। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, সকালে শহরের মুচিপোল, ভাদুলিডাঙ্গা রাতভর ভারী বৃষ্টিতে নড়াইল জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ঘরবাড়িতেও। অধিকাংশ রাস্তায় গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নালা ব্যবস্থাপনা না থাকা, বিদ্যমান নালার অচলাবস্থা এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পৌরসভার অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে ২৮ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় পৌরসভাটি। ১৯৯৯ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। শহরটির জন্য ৫৫ কিলোমিটার নালা ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ৩ কিলোমিটার; যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টিতে পৌরসভার মুচিপোল, ভাদুলিডাঙ্গা, বউবাজার, গোহাটখোলা, ভওয়াখালী, দুর্গাপুর, আলাদাতপুর, মহিষখোলাসহ পৌর এলাকার অনেক স্থানে ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও রাস্তায় পানি জমেছে। জলাবদ্ধতায় অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘরের সামনে পানি জমায় অনেকে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। কারও কারও রান্নাঘর-টিউবওয়েলের কিছু অংশ ডুবে গেছে পানির নিচে।
শহরের আলাদাতপুর এলাকায় ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানান বাসিন্দা আশিকুর রহমান সৌরভ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ির নিচতলায় হাঁটুপানি জমেছে। টিউবওয়েলের কিছু অংশ পানিতে ডুবেছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছি আমরা। এদিকে রান্নাঘরেও পানি প্রবেশ করায় রান্নাও বন্ধ।
জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। জমে থাকা পানি মাড়িয়ে যাচ্ছে দুই শিশু ঈশান সরকার, প্রহর সরকার। সকালে শহরের মুচিপোল, ভাদুলিডাঙ্গা এলাকায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। জমে থাকা পানি মাড়িয়ে যাচ্ছে। সকালে শহরের মুচিপোল রাতভর ভারী বৃষ্টিতে নড়াইল জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ঘরবাড়িতেও। অধিকাংশ রাস্তায় গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নালা ব্যবস্থাপনা না থাকা, বিদ্যমান নালার অচলাবস্থা এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পৌরসভার অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে ২৮ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় পৌরসভাটি। ১৯৯৯ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। শহরটির জন্য ৫৫ কিলোমিটার নালা ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ৩ কিলোমিটার; যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টিতে পৌরসভার মুচিপোল, ভাদুলিডাঙ্গা, বউবাজার, গোহাটখোলা, ভওয়াখালী, দুর্গাপুর, আলাদাতপুর, মহিষখোলাসহ পৌর এলাকার অনেক স্থানে ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও রাস্তায় পানি জমেছে। জলাবদ্ধতায় অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘরের সামনে পানি জমায় অনেকে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। কারও কারও রান্নাঘর-টিউবওয়েলের কিছু অংশ ডুবে গেছে পানির নিচে। শহরের মুচিপোল এলাকার
কালা দাস, অনুপ দাস, সাধন দাস, অপু দাস, বিনয় দাস, দিপু দাস, অচিন্ত, তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ির নিচতলায় হাঁটুপানি জমেছে।
আলাদাতপুর এলাকায় ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানান বাসিন্দা আশিকুর রহমান সৌরভার। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ির নিচতলায় হাঁটুপানি জমেছে। টিউবওয়েলের কিছু অংশ পানিতে ডুবেছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছি আমরা। এদিকে রান্নাঘরেও পানি প্রবেশ করায় আজ সকালের রান্নাও বন্ধ।’
একটি বাড়ির ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। সকালে আলাদতপুর এলাকায় হাঁটুপানি জমেছে ভাদুলিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তাজিমুর রহমানের বাড়ির চারপাশে। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নেমেছে, এরপর গতকাল রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমাদের ঘরে পানি উঠে গেছে। বাড়ির চারপাশে হাঁটুপানি জমে আছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সকালে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ওহাবুল আলম বলেন, প্রতিবছর পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হয়। এ বছরও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পানি সরাতে কাজ করা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫৫ কিলোমিটার নালা নির্মাণ। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পৌরসভাটির হাতে নেই। তবে তাঁরা চেষ্টা করছেন, অর্থায়ন পেলে নালা নির্মাণের মাধ্যমে এ সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।