উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে কালিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন।
ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় অনুগ্রহ কামনায় নড়াইলের কালিয়ায় প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ কালিয়ার আয়োজনে ৬ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় সময় কালিয়া শহরের উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামানের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
শিক্ষক শরীফ দীন ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কালিয়া সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মোঃ মাসিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু রেজোয়ান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিল্টন শেখ সহকারী শিক্ষক মোঃ ইয়াসিন আরাফাত রুবেল, জিল্লুর রহমান, কামাল হোসেন,ফাইজুল হক মিন্টু,অনিমেষ দত্ত, রাজিবুল ইসলাম, রাখি ইয়াসমিন, সাজ্জাদ আলম জামিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। তারা চাকুরি জীবনে তৃত্বীয় শ্রেণির কর্মচারির গ্রেডে বেতনভাতা গ্রহণ করে থাকেন। এই গ্রেডে সর্বসাকুল্যে একজন প্রাথমিক স্কুলের সহকারি যে বেতন পান তাতে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। প্রতিটি শিক্ষককে ঋণ এবং পরিবারের চাহিদার বোঝা মাথায় নিয়ে স্কুলে আসতে হয়। শ্রেণিতে পাঠদান করতে হয়। ফলে তাদের পক্ষে গুণগত শিক্ষা প্রদান ব্যহত হয়। ১০ম গ্রেডে বেতনভাতা বাস্তবায়ন হলে তাদের পারিবারিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে পাঠদানে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারবেন।
সভাপতি মাসিকুল আলম বলেন সহকারি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী সহঃ শিক্ষকদের স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হয়। আর স্নাতক ডিগ্রিধারী একজন শিক্ষককে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী বিবেচনা করা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তাই ১০ গ্রেডে বেতন তাদের ন্যায্য অধিকার।
বৈষমা বিরোধী এই সরকার শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করবেন মর্মে প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।
সহকারী শিক্ষক মিল্টন শেখ দাবি করেন, আর্ন্তজাতিক স্কেলের মানদন্ডে ভারত, শ্রীলঙ্কার শিক্ষার মান ২০ দশমিক ৮। পাকিস্তানের ১১ দশমিক ৩, বাংলাদেশের শিক্ষার মান ২ দশমিক ৮। চলমান বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে ১০ম গ্রেডের কোন বিকল্প নাই। তাই বক্তারা বলেন ১০ গ্রেডে বেতন আমাদের এক দফা এক দাবি।#