শামীম তালুকদার, নেত্রকোণা
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পপি‘র WLCR প্রকল্পভুক্ত ইউনিয়নসমূহের জন্য প্রস্তুতকৃত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা পর্যালোচনা, চূড়ান্তকরণ এ্যাডভোকেসী বিষয়ে কর্মশালা ৩০শে অক্টোবর নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি সকাল ১০:৩০ ঘটিকা থেকে দুপুর ০১:০০ টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। উক্ত কর্মশালায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্পভূক্ত উপজেলার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ, ইউপি সেক্রেটারী ও প্রকল্পভূক্ত ৩টি হাই স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকগণ, পপি‘র উপ-পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের রেজিলিয়েন্স অফিসার
মোঃ মিজানুর রহমান বকশী, সাংবাদিক এবং প্রকল্পের কর্মী-কর্মকর্তাবৃন্দসহ মোট ৪০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের রেজিলিয়েন্স অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বকসী এবং মাল্টিমিডিয়ায় মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন পপি‘র উপ-পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান। কর্মশালাটির উদ্দেশ্য ছিল- প্রকল্পটির কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করা, প্রকল্পভুক্ত ৩টি উপজেলার মোট ৭ টি ইউনিয়নের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা ও ৬ টি হাই স্কুলের সেফটি প্লান কর্মশালায় শেয়ার করা, চূড়ান্তকরণ এবং উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ্যাডভোকেসী করা।
মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপনের পর প্রকল্প সমন্বয়কারী ইউনিয়ন এবং স্কুল পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা ও স্কুল সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণকারী সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অতঃপর তিনি এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনার জন্য সকলকে আহবান জানান এবং মূল্যবান মতামত বা ফিড-ব্যাক প্রদান করে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনাটি চূড়ান্তকরণে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন। পরিশেষে কর্মশালায় সভাপতির পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময়ে তিনি রিমোট এরিয়ার আরও কিছু উপজেলা ও ইউনিয়নকে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনার কাজগুলোর সুনির্দিষ্ট লোকেশনসহ উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ইউপি প্রতিনিধি ও স্কুল প্রেতিনিধিকে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি উপস্থিত সকলকে ইউনিয়নসমূহের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা ও স্কুল সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন। সবশেষে আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান পপি এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।