আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ ঃ
২০০৯ সালের অনাকাঙ্ক্ষিত পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরীচ্যুত নিরাপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকরীতে পুর্নবহাল এবং এ কই সাথে পুনতদন্ত করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন বিডিআর সদস্যদের কে হত্যার বিচারের দাবিতে ঘন্টাব্যাপী সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চাকরীচ্যুত শতাধিক সাবেক বিডিআর সদস্যরা। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির সোপানে ২০০৯ সালের চাকরীচ্যুত সদস্যরা এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন ও সমাবেশ করেছে। পরে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় পৌরসভা রোড় হয়ে মানববন্ধন কর্মসুচী ও সমাবেশে চাকরীচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্যরা এবং পরিবার সদস্যদের অনেকে গ্রহন করেন।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে চাকরীচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সিরাজগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন সাবেক বিডিআর সার্জেন্ট আতাউর রহমানের আহবানে বক্তব্যে রাখেন, সাবেক বিডিআর সদস?্য আব্দুস সাত্তার, রেজাউল করিম, রহুল আমীন, সরোয়ার, আব্দুল হালিম, মিজানুর, বাবুল, হাবিলদার আব্দুর রশিদ, আব্দুল ওয়াদুদ, এস.এম মাসুদ, ইউনূস আলী, শামীম, মিজানুর রহমান, আব্দুল জব্বার, ফরিদুল, নাহিদ হাসান, আবু হাসেম, হাবিলদার মামুন, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানায় ভারতীয় সৈন্য ঢুকিয়ে বিডিআরে কর্মরত দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার ও সাধারণ জওয়ানদের হত্যা করে। হত্যার পর সাধারণ বিডিআর সদস্যদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তাদের চাকরীচ্যুতসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এতে অনেক বিডিআর সদস্য নিহত হন। ১৫ বছর ধরে বিডিআর সদস্যরা চাকুরীতে না থাকলেও তারা কোন রাষ্ট্র বিরোধী উগ্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত হননি। মিথ্যা তদন্তের মাধ্যমে তাদের চাকরীচ্যুত করে নাটক সাজানো হয়েছে। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার বিচার ও বিডিআর বিদ্রোহের পুনঃ তদন্তসহ চাকরীচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুর্নবহালের দাবি জানান।