তারিকুল ইসলাম তারিক, স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীর পাশেই বিরোধপূর্ণ জমি থেকে বালু উত্তোলন কেন্দ্র করে দিন দুপুরে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িঘরে হামলা লুটপাট টাকা ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় চার গ্রামের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি বিরোধপূর্ণ জমিতে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। তারা একটি সংঘবদ্ধ চত্রু । বিরোধপূর্ণ জমিতে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় হামলাকারিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ মে শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাস পুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। এ সময় তিনজন গৃহবধূ ও দুইজন পুরুষ মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। আহত চারজন পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, একজন গুরুতর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি তবে প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা জানায় বিরোধপূর্ণ একটি জমি থেকে হামলাকারীরা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। আর এতে বাধা দিতে গিয়ে আব্দুস সাত্তার মিয়ার স্ত্রী রাহেলা বেগম, আলতাফ হোসেনের স্ত্রী পিস তারা বেগম, আতাউর রহমানের স্ত্রী রতœা বেগম, আব্দুস সাত্তার মিয়ার পুত্র আতাউর রহমান, ও আলতাব হোসেন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য আহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলা । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মে বিকাল সাড়ে তিনটের সময় ধর্মদাসপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের পুত্র আব্দুল মান্নান, শামসুল আলমের পুত্র ফুল মিয়া, রফিকুল ইসলামের পুত্র জেনারুল ইসলাম ও ফিরোজ মিয়া মৃত ইব্রাহিমের পুত্র রুহুল আমিন, আমির উদ্দিনের পুত্র আতাউর রহমান, বড় আলমপুর (ষোলঘড়িয়া) গ্রামের সাদেক আলীর পুত্র শরীয়ত উল্লাহ, আজহার আলী পুত্র তাজিরুল ইসলাম, সৈয়র উদ্দিনের পুত্র শফিকুল ইসলাম, রসুলপুর গ্রামের, দিলদার আলীর পুত্র রজ্জব আলী সহ ৩০ থেকে ৩৫ জন এই হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলাকারীরা ধারালো ছুরি চাইনিজ কুড়াল লাঠি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হামলায় ব্যবহার করে। এ সময় আতাউর রহমানের নিকটে থাকা তিন লক্ষ টাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে মহিলাদের মারপিট শুরু করে। বিষয়টি স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি থানায় খবর দিলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বীট পুলিশ অফিসার এস আই মাহাবুর রহমান এবং এসআই আক্তার হোসেন ঘটনা স্থলে গেলে হামলাকারীরা পলায়ন করে । এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসার দুজনকে মুঠোফোনে কথা হলে তারা বলেন সংঘর্ষের কথা শুনে ঘটনা স্থলে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এরপর আহতদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন গুরুতর আহত রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। মামলার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন কোনো পক্ষ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি ।
মামলা করলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।