তারিকুল ইসলাম তারিক, স্টাফ রিপোর্টার:
১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ৯ ঘটিকায় সাংবাদিক মোস্তফা মিয়া’র বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম তার নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন। বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে ছোট ভাই সাংবাদিক মোস্তফা মিয়া শোকাতুর অবস্থায় লাশ দাফন কাফনের কাজে ব্যস্ত।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে জমি জমার বিষয় নিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা মিয়ার সাথে উপজেলার ৮ নং রায়পুর ইউনিয়নের কানঞ্চগাড়ী সরকার পাড়া গ্রামের মৃত আছোমুদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়ার সংগে দ্বন্দ্ব- চলছে। ফ্যাসাদ্বীয় জমি সাংবাদিক মোস্তফা মিয়ার দখলীয় সম্পত্তিতে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন। উল্লেখিত, দোকান ভাড়া নিয়ে একজন গরীব অসহায় লোক মিস্টির দোকান করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবযাপন করে আসছিলেন।
এদিকে, ভূমিদস্যু দুদু মিয়া দোকানঘরটি দখলের পায়তারা করলেও তেমন সুযোগ করতে পারেনাই। গতকাল ১৮ এপ্রিল/২৪ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মোস্তফা মিয়ার বড় ভাই ইন্তেকাল করলে ছোট ভাই মোস্তফা মিয়া মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন । এমন মহুর্তে ভূমিদস্যু দুদু মিয়া তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে দোকান ঘরটি দখলের পরিকল্পনা করেন ? সাংবাদিক মোস্তফা
মিয়া যখন বড় ভাইয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে কররস্ত করতে যাচ্ছিলেন এমন সুযোগে দুদুমিয়া সাংবাদিক মোস্তফার জায়গা দখল করার চেষ্টা করে । ভাড়াটিয়া মিষ্টির দোকানদার মোস্তফা মিয়াকে খবর দিলে ভাড়াটিয়ার চিন্তা মাথায় নিয়ে বাড়ি থেকে দ্রুত বেড় হয়ে বাজারে গিয়ে দেখেন , প্রতিপক্ষ দোকানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সব কেটে ফেলছেন, মালপত্র লন্ড-ভন্ড করেছেন। মোস্তাফা মিয়া বাধা দিতে দিতে গেলে দুদু মিয়া বলেন, আমার সামনে যে আসবে তাকে কেটে ফেলবো । সাংবাদিক মোস্তফা বলেন, আপনার সাথে আমার শত্রুতা । এই ভাড়াটিয়া অনেক অসহায় এই দোকানের ইনকাম দিয়ে তার কোনো-মতে সংসার চালান, সেই দোকান ভেঙ্গে দেওয়া কি উচিত ? এই কথা শোনার সাথে সাথে দুদুমিয়ার হাতে থাকা ধরালো অস্ত্র দিয়ে সাংবাদিক মোস্তফাকেও হত্যার চেষ্টা করেন ।
এলাকাবাসী জানান, সাংবাদিক মোস্তফা মিয়া বাড়িতে বড় ভাইয়ের লাশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এমন মুহুর্তে ভূমিদস্যু দুদু মিয়ার এমন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড চালানো মোটেই উচিৎ হয় নাই । এলাকাবাসি আরো বলেন, ভবিষ্যতে এমন জঘন্যতম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড আগামীতে কেউ যেনো করার সাহস না পায়, তার জন্য দুদুমিয়া কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান ।