১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় ভোর ৫:৫৯ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

পেঁয়াজ সংরক্ষণে তৈরি করা মডেল ঘরে সুফল পাচ্ছে কৃষকেরা

প্রতিবেদক
joysagortv
ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

মোঃ হামজা শেখ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে তৈরি করা মডেল ঘরে সুফল পাচ্ছে কৃষকেরা।কৃষি অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এসব ঘরে দীর্ঘদিন পেঁয়াজ সংরক্ষণের পাশাপাশি চলতি বছরে বেশি দামে বিক্রির করছেন চাষিরা।
বছরের শুরুতে জেলার কালুখালী উপজেলায় ২০টি এবং বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৩০টি মডেল ঘর নির্মাণ করে কৃষকদের কাছে হস্তান্তর করে রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।যেখানে ১৫ হাজার মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেছিলেন কৃষকেরা।
মডেল ঘর পাওয়া বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমি প্রতিবছর ৮ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ লাগাই।চারচালা টিনের ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতাম। বেশিরভাগ পেঁয়াজই নষ্ট হয়ে যেত। গত বছর সরকার থেকে ঘর পেয়েছিলাম। আমিসহ আমার ভাই এই ঘরে প্রায় ৪শ মণ পেঁয়াজ রেখেছিলাম। অক্টোবর মাস থেকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। এখনো কিছু পেঁয়াজ ঘরে আছে।এবছর আমার একটা পেঁয়াজও নষ্ট হয় নাই।ভালো দামও পাইছি।
কথা হয় একই ইউনিয়নের চর-দক্ষিণবাড়ি এলাকায় কৃষক গোলাম মোস্তাফা বলেন, গত মৌসুমের শেষের দিকে এই ঘর পেয়েছিলাম। তারপরও প্রায় ৪শ মণ পেঁয়াজ রেখেছিলাম। গত মাসে বিক্রি করে শেষ করেছি।আমার ঘরের একটা পেঁয়াজও নষ্ট হয় নাই।দামও ভালো পাইছি।এক ঘরে আমি আমার ছেলে ও ভালো ভাগাভাগি করে পেঁয়াজ রেখে ছিলাম। তবে আরও ঘর যদি বাড়িয়ে দিতো তাহলে ভালো হয়।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাড়ির উঠান বা ফাঁকা জায়গায় মাত্র এক শতাংশ জমিতে টিন-বাঁশ, লোহা ও কংক্রিটের সমন্বয়ে তৈরি করা এ ঘরে ছয়টি তাপ নিয়ন্ত্রণ ফ্যান ও তিন স্তরের মাচা রয়েছে।চার লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা প্রতিটি ঘরে সংরক্ষণ করা যায় সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মণ পেঁয়াজ। প্রতিটি ঘরে আলাদা আলাদা স্তরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন অন্তত পাঁচ কৃষক। এ ঘরে নয় মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ ভালো থাকে।
মাঠ কর্মকর্তা জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মোঃ রাজিব খান বলেন, মডেল ঘরে পেঁয়াজ রেখে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন; যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রত্যেক কৃষককে তো আর ঘর তৈরি করে দেওয়া যাবে না।ঘরগুলো তৈরির আরেকটি উদ্দেশ্য হল, কৃষকরা যেন এই ঘর দেখে নিজেরাই তৈরি করতে করেন। এতে যেমন পেঁয়াজ নষ্ট হবে না পাশাপাশি তারা সুবিধামত সময়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি বছর উৎপাদন করা পেঁয়াজের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।এসব ঘর নির্মাণের মাধ্যমে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন

সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশুদের অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা বিষয়ে উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

পাংশায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে ইউএনও এর মতবিনিময়

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে  আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা

কালাইয়ে শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন উপজেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

কালুখালীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান

সাবেক সাংসদ তুহিনের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণমিছিল

চৌহালীতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

প্রেসক্লাব কালাই এর দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইসলামপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৯-এর রজতজয়ন্তী উদযাপন