তারিকুল ইসলাম তারিক, স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বামন পুর গ্রামের মজনু মিয়া পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করলেও প্রতিপক্ষ তাকে ভূমি দস্যু রূপে বদনাম করলেন | অতঃপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে প্রচার করলেন। ভুক্তভোগী মজনুমিয়া এহনো মিথ্যাচার ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনায় তার নিজের সামাজিক মানক্ষুন্ন হয় | তিনি ভীষণ ভাবে ব্যতীত হয়ে স্বার্থন্বেষী মহলের প্রতিধিক্কার ও তীব্র নিন্দাসহ উক্ত বিষয়টির উপর প্রতিবাদ জানিয়েছেন | মজনু মিয়া একজন উপজেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান | সমাজে তার সুনাগরিক হিসেবে মূল্যায়ন ও অবস্থান বিদ্যমান |
শরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে এলাকাবাসী ও জমির মালিকের সাথে কথা বলে এবং কাগজপত্র মূলে দেখা গেছে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবন পুর গ্রামের মৃত্যু আসান উল্লার পুত্র আমানুল্লাহ কবিরাজের মৌজা বাবন পুর ৭৯ দাগে এস এ খতিয়ান নং ১০১ আর এস খতিয়ান নং রেকর্ড মূলে জমির মালিক মরহুম আমানুল্লাহ কবিরাজ। তারপর উক্ত সম্পত্তিতে ওয়ারিশ সূত্রে ২ পুত্র ৮ আট কন্যা অংশীদারিত্ব অর্জন করে। এরমধ্যে পুত্র মরহুম হারুন অর রশিদ মৃত্যুবরণ করলে তাহার পরবর্তী ওয়ারিশগণ ১ স্ত্রী ৪ পুত্র ৬ কন্যা সম্পত্তির অংশীদারিত্ব অর্জন করে। অতঃপর মরহুম হারুন অর রশিদের এক পুত্র নুর নুরনবী মিয়া মৃত্যুবরণ করলে ওয়ারিশ সূত্রে এক স্ত্রী তিন পুত্র জমির অংশীদারিত্ব পায়। এদিকে মরহুম হারুন অর রশিদের কন্যা নূর জাহান বেগম, নূর মোহাম্মদ মঞ্জু, নূর মোহাম্মদ মজনু মিয়া, নুরুল ইসলাম, শাহনাজ পারভীন, মাইদুল ইসলাম, মুরাদ আহমেদ, মাসুদ পারভেজ, রাফেজা বেগম, নুর নাহার খাতুন, হাসিনা বেগম, রিক্তা ফারেহা, ইসমত আরা এবং হাজেরা বেগম সমহিস্যা অনুযায়ী ৭ শতক জমির মালিকানা অর্জন করে। জমির ৪০ ও ৬২ সালের এবং বর্তমান পর্চা অনুযায়ী উল্লিখিত ব্যক্তিগণ উক্ত জমি পৈত্রিক সূত্রের প্রাপ্ত । জমির সব মালিকগণ একত্রিত হয়ে বিক্রি করার প্রস্তাব করলে একই গ্রামের আরিফুল ইসলাম চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নং ২৫০৭/ গত ২০২৪: সালে ওয়ারিশন সাব কবলা প্রদান করেন। এদিকে একটি মহল উক্ত জমি ক্রয় করতে না পেরে বিজ্ঞ আদালতে একটি ১৪৪ ধারা মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বর্তমান কবলাদার কবলাকৃত জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ কালে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন বাধা প্রদান করিলে কাবলাদার জমির মালিককে বিষয়টি অবগত করায় সংশ্লিষ্ট গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে কবলাকৃত জমি থেকে তাদেরকে সরে যেতে বলেন। এ দিকে জমি না পেয়ে তারা গণমাধ্যম কর্মীকে বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন | মিডিয়ায় প্রচারণায় বলা হয় মরহুম হারুন অর রশিদের পুত্র ও কন্যাগন জোরপূর্বক তাদেরকে জমি থেকে উচ্ছেদ করে বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়ে জায়গা দখল করেছে। যাহা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট | কোন স্বার্থন্বেষী মহল সামাজিকভাবে তাকে মানক্ষুণ্ণ হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উঠে পড়ে লেগেছে | এই কথাটির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন মরহুম সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের পুত্র কন্যা ও ওয়ারিশগণ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী। তারা নিজেও সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসন ও সুধী সমাজের সুদৃষ্টি কামনা করছেন |