গত ৭ মে ২০২৪ইং তারিখে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় “উল্লাপাড়ায় শ্রমিক নেতা লিমনের বিরুদ্ধে জিডি” ও দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকায় “আমান ফিডমিলে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধা উল্লাপাড়ায় শ্রমিক নেতা লিমনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদগুলো আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
উক্ত সংবাদগুলোতে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে আমার নামে চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের কাজে বাধা প্রদান, হুমকি ও নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, মালামাল লোড-আনলোড নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। যার কোন ভিত্তি বা কোন তথ্য প্রমান তাদের কাছে নেই বা তারা দেখাতে পারবে না।
প্রকৃত ঘটনা হলো- আমি আমান ফিড মিলে দীর্ঘদিন যাবত সকল নিয়ম ও আইন মেনে শ্রমিক ফেডারেশনের আওতায় সফল ভাবে শ্রম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ গত ৩১ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে বিনা নোটিশে আমাকে সহ একাধিক শ্রমিকদের বাদ দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ডিজিএম সালাউদ্দিন ও এডমিন অফিসার মোস্তাফিজুর জোগসাজস করে তাদের দুর্নীতির প্রসার ঘটাতে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বহিরাগত ব্যক্তি কথিত শ্রমিক মহিদুল ইসলামকে ট্রান্সপোর্টার ও শ্রমিক সর্দারের দায়িত্ব দিয়ে তার মাধ্যমে পরিবহণ চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরির প্রায় অর্ধেক কর্তন করে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করছে। আমি শুধু এর প্রতিবাদ করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অপকর্ম ঢাকতে আমার নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে থানায় জিডি ও পত্রিকায় মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার লক্ষ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। যা পরিশোধ না করে অন্যায় ভাবে হঠাৎ একজনকে দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমান ট্রেডিং-এর ভারত থেকে আমদানীকৃত মালামাল ঢাকা ও ময়মনসিংহে পরিবহনের জন্য টন প্রতি ১১০০ টাকা ভাড়া ছিল। বর্তমানে কথিত শ্রমিক মইদুল দায়িত্ব নেয়ার পর টন প্রতি তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ১১৫০ টাকা। টন প্রতি ৫০ টাকা বেশী ভাড়া প্রদান করায় র্যাক প্রতি কোম্পানীর আরো ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বেশী প্রদান করতে হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ডিজিএম সালাউদ্দিন কৌশলে আত্মসাৎ করছেন।
আর অবৈধ ভাবে আমাকে বাদ দিয়ে মহিদুল ইসলাম নামে কথিত যে শ্রমিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনি কোন শ্রমিক নয় বা তার কোন শ্রমিক কার্ড বা ট্রান্সপোর্ট লাইসেন্স নেই। এমনকি উক্ত কোম্পানীর সাথে কোন প্রকার ডিড বা চুক্তিপত্র নেই। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠানের ডিজিএম সালাউদ্দিন ও এডমিন অফিসার মোস্তাফিজুর তাদের দুর্নীতি কর্মকান্ড নির্বিঘেœ চালাতে ভুল তথ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে থানায় জিডি ও সংবাদগুলো প্রকাশ করেছে। আমি এসব ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী-
মোঃ ওয়াহিদুল আলম খান (লিমন)
হিমালয় ট্রেডার্স, উল্লাপাড়া।