মোঃ সাকিব খান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
দৈনিক ‘নয়া কন্ঠ’ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত শ্রীপুর থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব মুন্সি রেজাউল করিমের কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্তিতে নেতাকর্মীরা শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মুন্সি রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর শ্রীপুরস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের নিকট এ বিবৃতি প্রদান করেন।
লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ‘দৈনিক নয়া কণ্ঠ’ পত্রিকায় শ্রীপুর প্রতিনিধির বরাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে মাছের ঘের দখলের চেষ্টা, বালুমহল দখলের চেষ্টা, সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া ইত্যাদি যে সকল বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে, তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। আর সেটা আরো স্পষ্ট যে, নিউজের মধ্যে কোন ভূক্তভোগির অভিযোগ বা বক্তব্য নেই। সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত হয়ে একটি মনগড়া নিউজ করে আমার সম্মানহানির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুজাহিদ শেখ নামের এই প্রতিনিধি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে সাংবাদিকতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত মহেশপুর গ্রামের বিকাশ প্রতারকদের (টোপ ব্যবসা) পুলিশ দিয়ে ধরানো এবং ছাড়ানোর কাজ করে আসছে। সে নিজে ও তার ছোট ভাইও বিকাশ প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তার বাস্তব ভিত্তিক আয়ের আর কোনো পথ নেই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরদিনই মুজাহিদ ও তার চাচা টিক্কাসহ কয়েকজন বিএনপি নামধারী ১০ টি গরু ও ৪ টি দামি ছাগল লুট করে করে আনে। পরবর্তিতে প্রশাসন ও জেলা নেতাদের নির্দেশে আমরা তাদের কাছ থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করে মালিকের হাতে বুঝে দিতে সক্ষম হই। বাকিগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে বারবার বললেও সে দিচ্ছি-দিবো বলে সময় ক্ষেপণ করে আসছে। বাকি সেই গরু ও ছাগলগুলো ফেরত দেয়নি। এরমধ্যে একদিন শ্রীপুর থানার মধ্যে মুজাহিদের সঙ্গে দেখা হলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা বদরুল আলম হিরোসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সামনে আমি তাকে গরু ও ছাগলগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া নিউজ করেছে। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। আমি এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র ও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।