বিপ্লব কুমার দাস। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান (ঘোড়া)। এ নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যার সমর্থিত প্রার্থী। এ নির্বাচনে তাঁর (মোখলেসুর রহমান) স্ত্রী লোপা রহমানও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। গত বুধবার এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মোখলেসুর রহমান (ঘোড়া) ৫১ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে নিকটতম দ্বিতীয় হয়েছেন।
অপরদিকে তার স্ত্রী লোপা রহমান (অনারস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বদ্বীতা করে ১০১টি ভোট পেয়ে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে পঞ্চম হয়েছেন। তিনি জামানতও হারাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, মোখলেসুর রহমান (৩৯) ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের বাসিন্দা এরফানউদ্দিন মাতুব্বর ও শেফালী বেগমের ছেলে। এম.এস.এস. উত্তীর্ণ এই প্রার্থী পেশায় একজন ব্যবসাসী। অপরদিকে তার স্বশিক্ষিত স্ত্রী লোপা রহমান (৩৪) একজন গৃহিনী। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যাম মন্ডল ও মালতী রানী মন্ডল দম্পতির মেয়ে।
স্থানীয় রাজনীতি সচেতন ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত লোপা তার নির্বাচনী প্রতীক আনারস বাদ দিয়ে স্বামীর ঘোড়া মার্কায় ভোট চেয়েছেন। স্বামীর ডামি প্রার্থী হিসেবে স্বামী মোখলেসুর তাকে দাঁড় করিয়েছিলেন। স্ত্রীকে ডামি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ভোটের মাঠে সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন মোখলেসুর। এজন্য লোপার জামানত হারানোর খবরে স্থানীয়রা তেমন অবাক হননি। তবে স্ত্রীকে ডামি হিসেবে দাঁড় করানোর অভিযোগ প্রত্যাখান করে মোখলেসুর বলেছিলেন, আমার সমর্থকদের নিয়ে আমি প্রচারণা চালাচ্ছি, স্ত্রীও তার সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় ৬২ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে দোয়াত-কলম প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সনের সমর্থক ও তার সমর্থিত প্রার্থী কাওসার ভুইয়া। পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে লোপা রহমান ছাড়াও আরও দুইজন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এরা হলেন, হলেন, মো. সহিদুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), তিনি পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট অপরজন হলেন মাইনুল ইসলাম খান (কই মাছ) তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৩ ভোট। এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বলেন, ভাঙ্গায় অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে মোখলেসুরের স্ত্রী লোপাসহ তিনজন নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন। ভাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোটার ছিলেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৩৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৮৭১ জন। ভোটপ্রেদানের হার ৫০ দশমিক ৩৬।