মোঃ হোসেন আলী (ছোট্ট):
কানন আচার্য,খাগড়াছড়ি:খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কৃষাণীদেরকে বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজি’র প্রায় দশ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কনফারেন্স হল রুমে
খাগড়াছড়ি কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জের বিরল বৃক্ষ ও নবান্ন কৃষি খামার ভদ্রঘাট, কামারখন্দের আয়োজনে কৃষক কৃষাণীদেরকে বিনামূল্যে সবজী চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
মুক্তা চাকমা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলার কয়েক শতাধিক পাহাড়ি বাঙালি কৃষক কৃষাণীদের হাতে সবজির চারা তুলেদেন খাগড়াছড়ি কৃষি অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ডক্টর বাছিরুল আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর বাছিরুল আলম
তিনি বলেন, আকস্মিক বন্যায় ডুবে নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন ধরণের চারা এবং বীজতলা। বন্যার পানি নেমে গেলেও চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগে। তাই আবার বন্যার কারণে সবজী চারা তৈরি করতে না পারলে দেশে সবজী সংকট দেখা দেবে। তাই সবজী সংকটের কথা মাথায় রেখে আমাদের বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সহায়তা প্রদান করা দরকার।
বিরল বৃক্ষ ও নবান্ন কৃষি খামারের পরিচালক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘মানুষের খাবার জোগানোর জন্য কৃষির বিকল্প নেই। আমরা বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা ও সবজী চারা সরাসরি বিতরণের পাশাপাশি আমাদের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ভদ্রঘাটে চারা উৎপাদন করে থাকি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ করে থাকি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের বিরল বৃক্ষ ও নবান্ন কৃষি খামারের পরিচালক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ’, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্সস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ঃ প্রায় দশ হাজার সবজির চারার মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া,বেগুন,কাঁচা মরিচ,লাউ’সহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চারাগাছ। এবারের ভয়াবহ বন্যায় খাগড়াছড়ি জেলায় প্রায় তের হাজার কৃষক কৃষাণীর কৃষি ক্ষেত ও বীজতলা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।