রংপুর ব্যুরো প্রধান:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা সিস্টেম হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় বিগত এক বছরে বৈধভাবে সরকারী শুল্ক কর পরিশোধ করে কোন বিদেশি সিগারেট আমদানি না হওয়া সত্বেও দেশীয় বাজারে বিদেশি সিগারেট বিক্রি হচ্ছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা জারী করা হয়েছে।
উক্ত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রংপুর এর কমিশনার মহোদয় জনাব ড. নাহিদা ফরিদী তাঁর অধীক্ষেত্রাধীন এলাকায় শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনীত বিদেশি সিগারেট বাজারজাতকরণ বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন। সে নির্দেশনার আলোকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ, রংপুর-এর ডেপুটি কমিশনার মহোদয় জনাব মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রংপুর ভ্যাট বিভাগীয় দপ্তরের কর্মকর্তাগণ সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিগত ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকালে নগরীর বেগম রোকেয়া কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থান নেন। বিকাল ৪.৫৫ ঘটিকার সময় নগরীর বেগম রোকেয়া কলেজ মোড় এলাকায় কার্টুনসহ দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে থামার সংকেত দেয়া হলে তাঁরা কার্টুন ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পরবর্তীতে রংপুর ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাগণ সকলের উপস্থিতিতে কার্টুনটি খুললে ৩৩,০০০ (তেত্রিশ হাজার) শলাকা ওরিস ও মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা। আমদানি নীতি আদেশ,২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫(১০) মোতাবেক সিগারেটের প্যাকেটে “সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর” বাংলায় লেখা থাকতে হবে। কিšদু জব্দকৃত সিগারেটের প্যাকেটে এ ধরণের কোন লেখা ছিল না। এছাড়া মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং তদধীন প্রনীত এসআরও নং-১৮১/আইন/২০১৯/৩৮/মূসক, তারিখ- ১৩ জুন, ২০১৯ অনুযায়ী ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট কিংবা বিড়ি তৈরী, মজুদ, সরবরাহ, বিক্রয় ও ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট চোরাচালানকৃত বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তকরণ সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ মোতাবেক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্দেশনা প্রদান করেন।