মোঃ সাহাদত হোসেন স্টাফ রিপোটার:
দিনাজপুরের বিরামপুর গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী পালকি বিচিত্রময় ছিল। এক সময় গ্রামীন জনপদের অবস্থা সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়ীতে পালকি থাকত। গ্রাম বাংলায় তিন ধরনের পালকি দেখা যেত এক ধরনের পালকি সাধারণ মানুষের জন্য। এতে বহন করা হতো সাধারণ পথচারী অসুস্থ বা রুগ্ন ব্যক্তিদের জন্য। পালকি দুর্গম পাহাড়ি পথে চলাচলের জন্য ব্যবহারর হত বিশেষ ধরনের পালকি। এ ছাড়াও সামাজের উচু শ্রেণি লোকজনের জন্য ব্যবহৃত পালকিতে ছিল আরাম করে বসা শোয়ার ব্যবস্থা। এটি থাকত জম কালে পর্দা দিয়ে ঘেরা। বিবাহের কনের জন্য নির্ধারিত পালকিতে গুরত্বপেত লাল রংয়ের সিল্ক পর্দা। এই ধরনের পালকি ব্যবহার করা হতো হালকা কাঠ ও বাঁশ। দেখতে অনেকটা ঘরের মতো। দুই দিকে দুইটি দরজা। ধনী পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিয়ের উৎসবে পালকি ব্যবহার করা হতো। বর কনে পালকি চড়ে শশুড়বাড়ী যাতাযাত করত। দুই বাু ততোধিক বেহারা এই পালকি বহন করে নিয়ে যেত। কাধে করে পালকি একস্থান হইতে অন্যস্থানে যাতায়াত করত। পালকি চড়ে যাতায়াত করতে অনেক সময় ব্যয় হত। অনেক সময় অনেকে ভাড়া হিসাবে ব্যবহার করতে পারত। বাংলার অবস্থাসম্পন্ন গৃস্থের আভিজাত্যের প্রতীক কাঠের তৈরী পালকি। কালের বিবরতনে বর্তমানে ব্যটারীচালিত রিক্সা,ভ্যান, অটোরিক্সা,মাইক্রোবাস,মিনিবাস ব্যবহার হয় ফলে পালকির কদর নেই।
অচিন্তপুর গ্রামের আব্দুল করিম বলেন, সময়ের বিবর্তনে শহরের পাশাপাশি গ্রামের পরিবারগুলো ছোট আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। শত বছরের বাঙ্গালির ঐহিত্যবাহী পালকি আজ বিলুপ্তির পথে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: হাসান ইমাম তালুকদার
মোবাইল: 01711412874, 01712197481
ঢাকা অফিস: ৫০/১,পল্টন লাইন, পুরানা পল্টন,পল্টন, ঢাকা।
সিরাজগঞ্জ অফিস: হাউস নম্বর ৪০, মায়া কুঞ্জ, মোক্তার পাড়া, সিরাজগঞ্জ।
Design & Development By HosterCube Ltd.