তারিকুল ইসলাম তারিক, স্টাফ রিপোর্টার:
বিসিএস এর স্বপ্নপূরণ হলোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফ্রিদি আগুনের। চলতি মাসের ২৬ তা?রিখে বিসিএস প?রিক্ষা থাকায় প্রস্তুতির জন্য ঈদের ছু?টিতে বাড়িতে না গিয়ে রংপুর ছাত্রাবাসেই অবস্থান করেন আফ্রিদি।
গত রোববার একই বিভাগ ও ছাত্রাবাসের বড় ভাই পীরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে রুবন হাসান সৌ?খিন এর বা?ড়িতে বেড়াতে এসে রাতের খাবার খেয়ে ঘু?মিয়ে পড়েন। সোমবার সকালের নাস্তা খাবার জন?্য ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়া না পেয়ে গ্রাম্য ডাক্তার ডাকেন সৌখিনের পরিবারের লোকজন। াক্তার জানান, সে ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন। আফ্রিদি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের ১১ তম ব্যাচের মাস্টার্স ২য় সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার কবিরভিটা গ্রামে। তার পিতা মনিরুল ইসলাম খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলায় আনসার ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত। তিন ভাইয়ের মধ্যে আফ্রিদি আগুন সবার বড়। শিক্ষার্থী আফ্রিদির বাবা মনিরুল ইসলাম পীরগঞ্জ থানায় এসে সন্তানের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্জি করেন।
তিনি আরও জানান, আমার ছেলে আমাকে জানিয়েই পীরগঞ্জে এসেছিল। আমি পুলিশ সুপার স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তিনি যেন আমার ছেলের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই আমা?র কাছে হস্তান্তর করার ব?্যবস্থা করেন। রামনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাকেদুল ইসলাম বিএসসি বলেন, মৃত, আ?ফ্রিদি আগুনের পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় লাশ তার বাবা ও চাচার কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বেরোবি প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, আফ্রিদির পিতা ও পরিবারের লোকজন পীরগঞ্জে এসেছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ওই শিক্ষার্থীর পিতার অনুরোধে মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর এমন অকাল মৃত্যুতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সহকারি পুলিশ সুপার ডি সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস্) স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শিক্ষার্থীর বাবা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজারামপুর গ্রামে রাতে প্রথম জানাজার নামাজ শেষে মরদেহ নিয়ে য়শোরের উদ্দেশে রওনা হন তার তার পরিবার।